• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

নীলফামারীর উন্নয়নের জন্য ভোটের মাঠে তুমুল জনপ্রিয় বিকল্পহীন নূর

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮  

নির্বাচনী হাওয়ায় কাঁপছে সারাদেশ। এই নির্বাচনী আবহাওয়ার ছোঁয়া লেগেছে উত্তরবঙ্গের জেলা নীলফামারীতেও। বিভিন্ন দলের প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী-সমর্থকরা ছুটতে শুরু করেছে ভোটারের দ্বারে দ্বারে। লড়াইয়ের পরিধিও বাড়ছে ভোটের তারিখ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে।

নীলফামারী-২ (নীলফামারী সদর) নির্বাচনী এলাকার রাস্তার পাশে, বাজারে, চায়ের দোকানগুলোতে নির্বাচন নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এবার এই আসনে লড়বেন আওয়ামী লীগ মনোনিত অষ্টম সংসদ থেকে একাধারে তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর। যাকে এই আসনে ধরা হচ্ছে অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে।

গত ১৫ বছরে এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। এলাকার রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজের তিনি উন্নয়ন করেছেন। নীলফামারীতে স্পেশাল ইকোনোমিক জোনের কাজ চলছে। এখানে প্রায় সাড়ে চারশ’ একর জমির উপর নির্মিত এই জোনের কাজ শেষ হলে একলাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

মঙ্গা নামক অভাবকে চিরতরে দূর করে বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এলাকায় প্রতি তিনমাস অন্তর অন্তর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প চালিয়ে আসছেন। ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পে রোগের ব্যবস্থাপত্রসহ চিকিৎসার সকল ব্যয় বহন করেন তিনি।

এলাকাবাসী জানান, এই স্পেশাল ইকোনোমিক জোন প্রতিষ্ঠায় আসাদুজ্জামান নূরের অবদান রয়েছে। নীলফামারীতে রয়েছে রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা (ইপিজেড)। এখানে প্রায় অর্ধলাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই ইপিজেড স্থাপনেও আসাদুজ্জামান নূরের ভূমিকা ছিল।

অষ্টম সংসদ থেকে টানা তিন মেয়াদে নীলফামারী-০২ আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে রয়েছেন দেশ বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর। এলাকার উন্নয়ন, মানুষের বিভিন্ন সমস্যা, কর্মসংস্থান, চাকরির ক্ষেত্রে তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করেন। তার বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতি বা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এলাকায় নেই।

নিয়োগ বাণিজ্য বা টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগও কেউ তুলতে পারবে না। চাকরি বা সমস্যা নিয়ে এলাকার মানুষ তার কাছে গেলে তিনি কাউকে মিথ্যা আশ্বাস দেন না। যেটা তিনি পারবেন সেটা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং তা বাস্তবায়ন করেন। যেটা তিনি পারবেন না সেটা আগে থেকেই না করে দেন। কেউ অর্থের বিনিময়ে কোন কাজ করে দেওয়ার বা অন্যায় আবদার নিয়ে তার কাছে আসতে পারেন না বলেও এলাকাবাসী জানান। এ কারণে বলতে গেলে নীলফামারীর সর্বস্তরের মানুষ তাকে সম্মান করে। এলাকায় তিনি গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত।

তিনি নিয়মিত এলাকায় যোগাযোগ রাখেন, আসেন। মন্ত্রী হওয়ার পরও আসাদুজ্জামান নূর প্রতিমাসে চার থেকে পাঁচ বার এলাকায় আসেন বলে জানা গেছে। এসময় এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ দলীয় কর্মসূচিসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেন।

শুধু আওয়ামী লীগ কিংবা মহাজোটের নন সব মানুষের মাঝে ক্লিন ইমেজ ধরে রেখেছেন। উন্নয়নের ক্ষেত্রে তিনি যে অবদান রেখে চলেছেন সেক্ষেত্রে আসাদুজ্জামান নূরের বিকল্প কেউ থাকতে পারে না এমনকি অন্যকোন দলেও নেই’ বলে মনে করেন মহাজোটের নেতৃবৃন্দ।