• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

নৌকায় প্রার্থী না থাকায় সমর্থকের আত্মহত্যা!

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০১৮  

নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে নৌকার প্রার্থী না থাকায় আত্মহত্যা করেছেন দিনমজুর ঘুনুরাম রায় (৫০) নামের এক সমর্থক। আজ বুধবার দুপুরে পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে নিজ বাড়িতে ঘরের চালের বাঁশের তীরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের পাইটকাপাড়া গ্রামের মৃত প্রহল্লাদ চন্দ্র রায়ের ছেলে ঘুনুরাম রায়। তিনি নৌকা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার অন্ধ সমর্থক বলে জানা যায়। এ ঘটনায় এলাকাটিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদ পেয়ে শেষ বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে কথা হয় ঘুনুরামের স্ত্রী মেনকা রাণী রায় (৪৫) সঙ্গে। তিনি  জানান, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে তাদের। এর মধ্যে এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে।

পরিবারের সংকটে ছেলে কমল চন্দ্র রায় (২০) কুমিল্লায় গেছে দিনমজুরির কাজে। বুধবার সকালে স্বামী ঘুনুরামকে বাড়িতে রেখে সাত বছর বয়সের অপর মেয়েকে স্কুলে পাঠিয়ে দিনমজুরির কাজে যায় মেনকা। সেখান থেকে দুপুরে বাড়িতে ফিরে দেখেন ঘরের মধ্যে গলায় দড়ি দিয়ে তার স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। তিনি (মেনকা) আরো বলেন, ‘মোর স্বামী এমপিকে ভালোবাসে। এইবার ভোটোত এমপি নৌকা মার্কা পায় নাই শুনিয়া কয়দিন থাকি কয়া বেড়াছে এলা ভোট কোঠে দিম।’

এলাকাবাসী জানায়, পরিবারের অর্থনৈতিক প্রতিকূলতার মধ্যেও আওয়ামী লীগ দলীয় সভা-সমাবেশে তার সরব উপস্থিতি ছিল। এবারের নির্বাচনে আসনটি থেকে নৌকা মার্কার কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন না দেওয়ায় কয়েকদিন ধরে তার মানষিক বিপর্যয় দেখা গেছে। তার ওই মানষিক বিপর্যয় থেকে বুধবার অত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছেন তারা। এলাকার কৃষক মশিউর রহমান (৩০) বলেন, “ঘুনুরাম দলের কোনো পদে নেই। আজকে সকালেও এলাকার একটি দোকানের সামনে বলতে শুনেছি, ‘নৌকা নাই ভোট কোনঠে দিম ! হামার এমপি যদি মনোনয়ন না পায় তাহলে মোর মরা ছাড়া আর উপায় নাই’। এরপর দুপুরে তার আত্মহত্যার কথা শুনতে পাই।”

ধর্মপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান বলেন, জলঢাকা আসনে গোলাম মোস্তফা মনোনয়ন না পাওয়ার কারণে অনেক মানুষ আশাহত হয়েছেন, এমপি নৌকা না পাওয়ার কারণে ঘুনুরাম আত্মহত্যা করেছে এ ব্যাপারে আমিও নিশ্চিত হয়েছি। লোকটা এমপির ভক্ত ছিলেন। জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মুঠোফোনে সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে লোকটি নৌকার ভক্ত ছিলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।