• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

পঞ্চগড়-ঢাকা সবজি ট্রেন সার্ভিস চালু

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২১  

করোনাকালীন সময়ে সব ধরনের পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের পাশাপাশি কৃষিজাত পণ্য ও পার্সেল মালামাল পরিবহনের সুবিধার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ে পঞ্চগড়-ঢাকা রুটে সবজি ট্রেন সার্ভিস চালু করেছে। সোমবার দুপুরে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশনে জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন আনুষ্ঠানিকভাবে এই সবজি ট্রেনের উদ্বোধন করেন।

এ সময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, রেলওয়ের লালমনিরহাট ডিভিশনের ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নূর মোহাম্মদ, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ হোসেন ও সবজি ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। 

ড. সাবিনা ইয়াসমিন এসময় বলেন, করোনাকালে এই ট্রেন পঞ্চগড়সহ দেশের অন্য জেলার কৃষকদের কৃষিপণ্য সরবরাহে ভূমিকা রাখবে। এতে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে না।

পঞ্চগড় উৎপাদিত শসা, টমেটো, বেগুন, মরিচ, লাউ, সীম, মিষ্টিকুমড়াসহ বিভিন্ন শাকসবজি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয়। প্রথম দিনেই পঞ্চগড়ের চারজন ব্যবসায়ী শসা, টমেটো, বেগুন ও শুকনো মরিচসহ তিন মেট্রিক টন সবজি পাঠান।

রেলওয়ে সুত্রে জানা গেছে, কৃষিপণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে সোমবার থেকেই একটি পার্সেল ট্রেন সপ্তাহে শনি, সোম ও বুধবার পঞ্চগড়-ঢাকা রুটে চলবে। ছাড়বে দুপুর ১টায় টায়, ঢাকা পৌঁছাবে ভোর ৩টায়। আর সপ্তাহের রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার ‘ঢাকা- পঞ্চগড় রুটে ১টি পার্সেল ট্রেন চলবে। ঢাকায় ছাড়বে সকাল ৬টায়, পঞ্চগড়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশনে পৌঁছাবে রাত সাড়ে ৮টায়। বিশেষ পার্সেল ট্রেনে কৃষিজাত পণ্য যেমন শাক-সবজি, দেশীয় ফলমূলসহ অন্যান্য কৃষি পণ্যাদি পরিবহনের ক্ষেত্রে মূল ভাড়ার ওপর ২৫ শতাংশ রেয়াত ও অন্য সব চার্জ বন্ধ থাকবে।

পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার পানিমাছ পুকুরী এলাকার কাঁচামাল ব্যবসায়ী রশিদুল ইসলাম ও বদরুজ্জামান বাবু জানান, প্রথম দফা পণ্য রেলে পাঠানো হলো। কেমন খরচ হয় হিসেব নিকেশ করতে হবে। লাভ হলে রেলে পণ্য পাঠাবো, নাহলে বিকল্প চিন্তা করতে হবে। 

পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মাসুদ পারভেজ জানান, এই পার্সেল ট্রেনটিতে যে কোন স্টেশনে পণ্য লোড এবং আনলোড (ওঠানামা) করা যাবে। মালামালের সঙ্গে ব্যবসায়ীরাও যেতে পারবে।

রেলওয়ের লালমনিরহাট ডিভিশনের ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নূর মোহাম্মদ জানান, করোনার মধ্যে জীবন এবং জীবিকা চালু রাখতে এবং লকডাউনে কৃষক যাতে কৃষি পণ্য সহজে পরিবহণ করতে পারে সে জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে বিশেষ পার্সেল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেলওয়ে অতীতে বিভিন্ন সময় ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন, ক্যাটল ট্রেনসহ পার্সেল ট্রেন পরিচালনা করেছে। রেলওয়ে বর্তমানে তেল, সারসহ অন্যান্য মালামাল পরিবহন করছে। প্রতিটিতে ৪০ মেট্রিক টন সবজি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন চারটি ওয়াগন সংযুক্ত থাকছে।