• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

পঞ্চগড়ে ত্রাণের দাবিতে দুস্থদের মানববন্ধন

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০২০  

পঞ্চগড়ে ত্রাণের দাবিতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে অসহায় দুস্থ ও কয়েকজন দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধা। 

বুধবার (০৮ এপ্রিল) সকালে পঞ্চগড় জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে রাস্তার দু‘পাশে দাড়িয়ে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে অসহায় দুঃস্থ্য ও দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধারা। তারা অভিযোগ করে বলেন, জেলা প্রশাসন যে ত্রাণ বিতরণ করছে, তা সমন্বয়ের ব্যাপক অভাব। সাধারণ দরিদ্র মানুষ প্রাপ্য ত্রাণ পাচ্ছে না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মুখচেনা ব্যক্তিদের ত্রাণ দিচ্ছেন। ১০ টাকা কেজির চাল কিনতে গিয়ে দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়েও চাল পাচ্ছে না। চালের মান নিয়েও প্রশ্ন। 

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই বলেন, প্রশাসন ফটোসেশনের জন্য নিজেরাই কয়েক বেগ ত্রাণ বিতরণ করে ফটো তুলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে এতে প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তা নিজেদের জাহির করবার যেমন চেষ্টা করছে তেমনিভাবে অসহায় ওই ব্যক্তিটির ছবি প্রকাশ হওয়ায় সমাজে আত্মমর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাই তারা চাচ্ছেন, মানুষ দেখানো ফটোসেশনের পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ত্রাণের সুষম বন্টন। 

এ সময় বক্তব্য রাখেন, পঞ্চগড় সদর উপজেলার রাজাপাট ডাঙ্গা আশ্রয়ন প্রকল্পের আশ্রিত বীরমুক্তিযোদ্ধা সলেমান আলী, বসিরউদ্দীন, শহিদুল ইসলাম, তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, ত্রাণের জন্য বার বার জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে ত্রাণ না পাওয়ায় ওই আশ্রয়ন প্রকল্পে আমরাসহ অন্যান্যরা মানবেতর জীবন যাপন করি। আমরা জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করি কিন্তু জেলা প্রশাসক আমাদের সাথে ভালো আচরণ করেননি। পরে বাধ্য হয়ে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের সাথে যোগাযোগ করি, বিষয়টি জানার পরেই বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশে আমরা আট কেজি চাল ও দেড় কেজি আলু পাই সেদিনই। ‘আমরা এই দেশ স্বাধীন করেছি চাওয়া পাওয়ার আশায় নয়, এমন বৈষম্যের বাংলাদেশ দেখার জন্য নয়, ত্রাণের জন্য বিভাগীয় কমিশনারের নিকট কেন নালিশ করতে হবে? জেলা, উপজেলার কর্মকর্তারা কেন আমাদের কথা শুনলেন না।’ 

পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পঞ্চগড় পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আল তারেক ক্ষুধার্ত এসকল মানুষের দাবির সাথে একমত পোষন করে বলেন, বিষয়টি আমি উচ্চ পর্যায়ে তুলে ধরবো এবং সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করবো সহযোগিতা করার। 

পঞ্চগড় জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি উপাধ্যক্ষ আনিস প্রধান বলেন, সাধারণের যৌক্তিক দাবির সাথে আমি একমত এবং আমি মনে করি, প্রশাসনের উচিত সাধারণ মানুষের চাওয়া পাওয়ার বিষয়টি নজরে নেওয়া। পৌর যুবলীগের সভাপতি হাসনাত হামিদুর রহমান বলেন আমিও একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে কয়েকজন মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা জানানোর জন্য ফোন করেছিলাম কয়েকবার, কিন্তু তিনি ফোন ধরেন না। আমরা রাজনীতি করি, আমাদের কাছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষ আসে। 

পঞ্চগড় জেলা প্রেসক্লাসের সাধারণ সম্পাদক ও পঞ্চগড় জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. শাহ্্জালাল বলেন, আমি আপনাদের যৌক্তিক বিষয়গুলোর সাথে একমত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিশ্চই আপনাদের সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। তবে করোনার কারনে আপনাদের উচিৎ কষ্ট হলেও ঘরে থাকা।  

জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের একত্রিত হওয়া বেআইনি, কারো ত্রাণ সামগ্রীর প্রয়োজন হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোন করবেন।