• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

পদ্মাসেতুর ১৭তম স্প্যান বসছে আজ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০১৯  

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ মঙ্গলবার পদ্মাসেতুর ১৭তম স্প্যান বসানো হবে। স্প্যানটি সেতুর ২২ ও ২৩ নম্বর পিলারে উপরে স্থাপন করা হবে। 

সোমবার সেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে এ তথ্য জানিয়েছে। চলতি মাসে আরো একটি স্প্যান বসানো হবে বলেও জানিয়েছেন সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের সেতুতে ৪১টি স্প্যান বসাতে হবে। এর মধ্যে চীন থেকে সেতু এলাকায় স্প্যান এসেছে ৩১টি। সেখান থেকে ১৬টি স্থাপন করা হয়েছে।

পদ্মা সেতুর প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সেতুর রোডওয়ে স্ল্যাব স্থাপনের কাজ নির্ধারিত গতিতে এগোচ্ছে। ২ হাজার ৯শ ১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসবে সেতুতে। এরইমধ্যে ১৬৭৪টি স্ল্যাব তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। বসানো হয়েছে ৬৯টি রোডওয়ে স্ল্যাব। দিনেমাত্র একটি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো যাচ্ছে। 

পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, মূল সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি- ৮৪ দশমিক ৫০শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৭৯ দশমিক ০৮ শতাংশ। ২০২১ সালের জুন মাসে সেতু দিয়ে চলবে গাড়ি।

এখন পর্যন্ত মূল সেতুর ৪২টি খুঁটির মধ্যে ৩৩টি খুঁটির কাজ শেষ হয়েছে। বাকি থাকা ১০টির খুঁটির উপরের অংশের কাজ চলছে।

সেতুর প্রকৌশলীরা বলেন, পদ্মা সেতুর স্প্যানের ভেতরে রেলওয়ে স্ল্যাব লাগবে ২ হাজার ৯৫৯টি। এর মধ্যে ২ হাজার ৯২০ টি স্ল্যাব তৈরি শেষ হয়েছে এবং বাকি স্ল্যাব তৈরি চলতি মাসেই শেষ হবে। এখন পর্যন্ত রেলওয়ে স্ল্যাব ৩৬১টি স্থাপন করা হয়েছে।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এই নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন হয় ২০০৭ সালে। ২০১৫ সালে শুরু হয় নির্মাণ। বর্তমান ব্যয় ৩৩ হাজার কোটি টাকার বেশি।

মূল সেতু নির্মাণে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। আর নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন। দুইপ্রান্তে টোল প্লাজা, সংযোগসড়ক, অবকাঠামো নির্মাণ করছে দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।