• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

পাঁচ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হচ্ছে ডিজিটাল ল্যাব

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২০  

স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আইসিটিতে দক্ষতা বাড়ানো লক্ষে সরকার সারাদেশে নতুন করে পাঁচ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করবে। যেখানে থাকবে অত্যাধুনিক আইসিটি সুযোগ-সুবিধা।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই প্রকল্পসহ সাতটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে, যাতে ব্যয় হবে তিন হাজার ৭৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে দুই হাজার ১৩২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং বিদেশি ঋণ ৯৪২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

একনেক সভায় ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ স্থাপন (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৯৩৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। যার পুরোটাই সরকার দেবে। ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারির মধ্যে এটি বাস্তবায়ন কররে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর।

গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবনের সাথে প্রধানমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান একনেক সভায় অংশ নেন। একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় বলেছেন এই খাতে আরও প্রকল্প নিয়ে আসুন। যেসব এলাকায় ইন্টারনেট যায়নি সেসব এলাকায় ইন্টারনেট সুবিধা দিয়ে সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেন এমন প্রকল্পের আওতায় আসে।

প্রকল্পের প্রধান কাজ হচ্ছে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন (ইন্টারনেট সংযোগসহ) ৫০০০টি, ৩০০টি ‘স্কুল অব ফিউচার’ প্রস্তুত, ৩৬ হাজার ২০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান, ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি ইত্যাদি।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়, শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে এ দেশেও প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার, ডিজিটাল কনেটেন্ট, সফটওয়্যার, লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ইত্যাদি সম্বলিত স্মার্ট ক্লাসরুম প্রবর্তনের মাধ্যমে ‘স্কুল অব ফিউচার’ স্থাপন করা দরকার। আর এজন্য এই প্রকল্প নেয়া হয়েছে। সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষায়িত কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষায় আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ তৈরিপূর্বক শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি এবং যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন করা হবে।

একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ‘রাজশাহী মহানগরীতে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার পুনর্বাসন’ প্রকল্প, ‘খুলনা পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন’ প্রকল্প, ‘ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রাম ফর দ্য পুওরেস্ট (আইএসপিপি)-যত্ন (তৃতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প ও ‘আমার বাড়ি আমার খামার (চতুর্থ সংশোধিত)’ প্রকল্প। আর কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘তুলার গবেষণা উন্নয়ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর’ প্রকল্প ও ‘মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন (দ্বিতীয় পর্ব)’ প্রকল্প।