• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

পাট খাতকে বিএনপিই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলো-তথ্যমন্ত্রী

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২০  

পাট খাতকে বিএনপিই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলো বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘সরকার পাটখাত ধ্বংস করছে’ ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের এ বক্তব্যের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিই পাট খাত ধ্বংস করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলো। বিএনপি’র আমলে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ’র পরামর্শ অনুযায়ী তারা আদমজীসহ অনেকগুলো জুট মিল বন্ধ করে দিয়েছিলো। আবার শতশত কোটি টাকা মূল্যের জুট মিল কয়েক কোটি টাকায় ব্যক্তি মালিকানায় বিক্রি করেছিলো। এটি শুধু খালেদা জিয়া করেছেন তা নয়, জিয়াউর রহমানের আমল থেকে সেটি শুরু হয়েছিলো।

বর্তমান সরকার কোনো পাট কল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি বরং এই পাটকলগুলো ৪০ বছর ধরে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই লাভ করতে পারেনি এবং শ্রমিকরাও সঠিকভাবে বেতন পাচ্ছিলো না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই পাটখাতকে ঢেলে সাজানোর অংশ হিসেবে এবং এই পাটখাতে উন্নতির জন্য সংস্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শ্রমিকদের সমস্ত দেনাপাওনা মিটিয়ে দিয়েই তাদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের আওতায় আনা হচ্ছে।

কোনো দেশই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিলো না ফলে সবখানে পর্যদুস্ত অবস্থা হয়েছে। সবদেশের স্বাস্থ্য খাতই আলোচনা-সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে এবং হচ্ছে। 

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোসহ পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতেও উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও এবং তাদের অর্থনৈতিক সংগতি আমাদের চেয়েও অনেক ভালো থাকা সত্ত্বে তারা করোনা মহামারি ঠিকভাবে সামাল দিতে পারেনি। কারণ এটার জন্য কেউই এমনকি চীনও প্রস্তুত ছিলো না। চীনে যে চিকিৎসক করোনাভাইরাসের বিষয়ে প্রথম সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো ও তিনি পরে করোনাক্রান্ত হয়েই মারা গেছেন। প্রত্যেক দেশেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই পরিস্থিতিতে নানাভাবে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। নেদারল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তো এই পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে নিজেই পদত্যাগ করেছেন। জার্মানির একজন প্রাদেশিক মন্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আরো অনেক দেশেই এ ঘটনা ঘটেছে।

আমাদের দেশের সীমিত সামর্থ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই করোনাভাইরাস মোকাবিলা করা হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রথমদিকে যে সমস্ত অসুবিধা ছিলো, সমন্বয়েও কিছুটা ঘাটতি ছিলো, সেটি এখন আর নেই। এখন অনেক সমন্বিতভাবে এই করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সেকারণে আমাদের দেশে মৃত্যুর হার পৃথিবীর যে ক’টি দেশে খুব কম তারমধ্যে একটি। 

স্বাস্থ্য খাত নিয়ে সংসদে যে আলোচনা সমালোচনা হয়েছে, সেটিকে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হিসেবে আখ্যা দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সামনে রেখে  প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে যেভাবে আলোচনা হয়েছে, এটিই ‘বিউটি অফ দ্য ডেমোক্রেসি’। এভাবেই গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা, গণতন্ত্র এগিয়ে যায়। আমি মনে করি সংসদের আলোচনাটি দায়িত্ব পালনে এবং গণতন্ত্রকে সংগত করার ক্ষেত্রেও সহায়ক। প্রধানমন্ত্রী কি করবেন সেটি প্রধানমন্ত্রীই বলতে পারবেন, অন্য কেউ বলার এখতিয়ার রাখে না, বলতেও পারবে না।