• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

পীরগঞ্জে পরীক্ষার আসন বিন্যাসে স্বজনপ্রীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৯  

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় আসন বিন্যাসে স্বজনপ্রীতি সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ভাদুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে রোববার সকালে পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভুক্তভোগী কয়েক জন প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সহ অভিভাবকরা। তবে কেন্দ্র সচিব অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, 'কোন অনিয়ম হয়নি'। 

এক্তিয়ারপুর ও ইনুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক সহ আরো কয়েক জন শিক্ষকের অভিযোগ, রোববার থেকে শুরু হওয়া প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ভাদুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে একটি কিন্টার গার্টেন স্কুল সহ ২০ টি সরকাররি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। প্রথম দিনে ইংরেজী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে তারা কেন্দ্রে গিয়ে দেখেন, কেন্দ্র সচিব ভাদুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেরুন নেছা ও তার স্বামী বসন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকিউল ইসলাম মিম যোগ সাজস করে নিয়ম বর্হিভুত ভাবে সিরিয়াল ভঙ্গ করে তাদের স্কুলের পরীক্ষার্থীদের সাথে পছন্দের স্কুলের পরীক্ষার্থীদের আসন বসিয়েছেন। এতে অনেক স্কুলের শিক্ষার্থীদের বিচ্ছিন্ন ভাবে বিভিন্ন কক্ষে বিভিন্ন বেঞ্চে এলোমেলো ভাবে পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। এছাড়াও কেন্দ্র সচিব ও তার স্বামীর স্কুলের পরীক্ষার্থীদের ভাদুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় একটি সুবিধা জনক কক্ষে সিট বসানো হয় এবং ঐ কক্ষে বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

এদিকে এলোমেলে ভাবে পরীক্ষার সিট দেখে আবাক হন পরীক্ষার্থী সহ সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সহ অভিভাবকরা। পরীক্ষা শুরুর পূর্বে তারা এর প্রতিবাদ জানান। এক পর্যায়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিষয়টি কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার এনামুল হক সহ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হককে জানানো হয়। তারা বিষয়টি দেখছেন বলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষকদের আশ্বস্ত করে পরীক্ষা কেন্দ্র ত্যাগ করার অনুরোধ জানান। তাদের অনুরোধে শিক্ষকরা শান্ত হয়।

এ বিষয়ে সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার এনামুল হক বলেন, সিট বসানো নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছে। আগামীতে ঠিক করে দেওয়া হবে।

ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক বলেন, অভিযোগ তিনিও পেয়েছেন। বিষয়টি দেখার জন্য তিনি দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলেছেন।

অভিযোগ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব ভাদুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেরুন নেছা বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। সিট বসানো সময় অনেকের সিট কাটা পড়েছে। এজন্য হয়ত কেউ অভিযোগ করছেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার হাবিবুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে তিনি কোন অভিযোগ পাননি। তবে সিট বসাতে গিয়ে কারো রোল নম্বর কাটা পড়তে পারে। বিষয়টি তিনি খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানান ঐ কর্মকর্তা।