• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

পুলিশ ফাঁড়িতে আসামির মৃত্যুতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০১৯  

রংপুরের পীরগঞ্জে ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ তদন্ত ফাঁড়ির হাজতে শামছুল হক (৫৫) নামের এক আসামির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে হাজতে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ওই আসামির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে নিহতের পরিবারসহ এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশের পিটুনিতে শামছুল হকের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে, মৃত্যুর বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশকে ঘটনার জন্য দায়ী করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সকালে ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ তদন্ত ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। দুপুর সাড়ে বারোটার পর বিক্ষোভে স্থানীয়দের অংশগ্রহণ বাড়তে থাকে। 

এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে অন্তত ২৩ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।

প্রায় এক ঘণ্টা পুলিশ ও উত্তেজিত জনতার মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এদিকে, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পুলিশ, ভিক্ষুক, পথচারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজ উদ্দিন রয়েছেন।

ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, নিহত শামছুল হককে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাতে পীরগঞ্জ উপজেলার বড়দরগাহ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে ভেন্ডাবাড়ি ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে আটক রাখা হয়।

বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফাঁড়ির হাজতখানায় তাকে গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায় পুলিশ। পরে তার মরদেহ সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। এদিকে মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হলে উত্তেজিত জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।

এদিকে, নিহতের পরিবারের দাবি, ফাঁড়ির ইনচার্জ দুই লাখ টাকা দাবি করেছিল। সেই টাকা না দেওয়ায় শামছুল হককে পিটিয়ে হত্যা করেছে পুলিশ।’

ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল ৯টার দিকেও শামছুলের সঙ্গে কথা বলেছি। কিছুক্ষণ পরে গিয়ে দেখি থানা হাজতের গ্রিলের সঙ্গে গামছা ও পাঞ্জাবি গলায় পেচিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। তাকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি। তার কাছে কোনো চাঁদাও দাবি করা হয়নি। আসামিকে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আসামির মৃত্যু নিয়ে যেহেতু সন্দেহ রয়েছে। এ কারণে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’