• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পৃথিবীকে রক্ষায় জাতিসংঘে পাঁচ দফা প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০  

পৃথিবীকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে রক্ষা করার জন্য পাঁচ-দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করে জোরাল আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৫তম সাধারণ অধিবেশন (ইউএনজিএ)’র সাইডলাইনে জলবায়ু সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের একটি ভার্চুয়াল গোলটেবিল আলোচনায় এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই পাঁচ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।

তিনি তার প্রথম প্রস্তাবে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে পৃথিবী এবং নিজেদের রক্ষা করার জন্য আমি রাজনৈতিক নেতৃত্বকে অবশ্যই জোরাল আন্তর্জাতিক সহযোগিতা উৎসাহিত করার পরামর্শ দেব।

প্রধানমন্ত্রী তার দ্বিতীয় প্রস্তাবনায় বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখতে হবে এবং সমস্ত প্যারিস প্রবিধান বাস্তবায়ন করতে হবে।

তৃতীয়ত তিনি বলেন, দুর্বল দেশগুলোকে প্রতিশ্রুত তহবিল সরবরাহ করতে হবে।

চতুর্থ প্রস্তাবে শেখ হাসিনা বলেন, দূষণকারী দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় প্রশমন ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের এনডিসি (জাতীয় নির্ধারিত অবদান) বাড়াতে হবে।

পঞ্চম প্রস্তাবনায় তিনি বলেন, জলবায়ু শরণার্থীদের পুনর্বাসন একটি বৈশ্বিক দায়িত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ জানানোয় জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, অভিযোজন এবং সহিষ্ণুতার বিষয়ে বিনিময় করার মতো কিছু ধারণা ও অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের রয়েছে।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জল ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ প্রস্তুত করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার দেশে চার হাজার ২৯১টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং ৫২৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করেছে এবং যেকোনো ঘূর্ণিঝড়ের আগে প্রস্তুতি সহজ করতে ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে।

তিনি বলেন, এ জন্য আমরা ‘রিপ’ (ঝুঁকি-অবহিত আর্লি অ্যাকশন পার্টনারশিপ) উদ্যোগে অংশ নিয়েছি, যার লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে এক বিলিয়ন মানুষকে বিপর্যয় থেকে নিরাপদ করা।

এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ সিভিএফের (জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরাম) বর্তমান চেয়ার এবং সম্প্রতি ঢাকায় গ্লোবাল সেন্টার অব অ্যাডাপ্টেশনের আঞ্চলিক কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস গোলটেবিলটি আহ্বান করেন এবং যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক ফেমি ওকে এটি পরিচালনা করেন।