• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

পেঁয়াজ বিমানে উঠে গেছে কাজেই আর চিন্তা নাই: প্রধানমন্ত্রী

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৯  

দেশের বাজারে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিরকারণ খতিয়ে দেখছে সরকার। এমনকি এর পেছনে কোন চক্রান্ত আছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। অন্যদিকে পেঁয়াজ নিয়ে মানুষের সমস্যা মোকাবিলায় সরকার বিমানে করে পেঁয়াজ আমদানি করছে। এর ফলে মানুষের সমস্যা আর থাকবে না বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, এই সমস্যা যাতে না থাকে তাই কার্গো ভাড়া করে আমরা এখন পেঁয়াজ আনা শুরু করেছি। আগামীকাল-পরশুর মধ্যে পেঁয়াজ বিমানে এসে পৌঁছাবে। পেঁয়াজ বিমানে উঠে গেছে কাজেই আর চিন্তা নাই।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারপ্রধান বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে একটা সমস্যা আছে। প্রায় সব দেশেই পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এটা ঠিক। কিন্তু আমাদের দেশে কেন কী কারণে এত অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ছে -জানি না। এখন আমরা বিমানে করে পেঁয়াজ আমদানি করে নিয়ে আসছি। আমরা দেখতে চাই এ ধরনের চক্রান্তের সাথে কেউ জড়িত আছে কি না।

তিনি বলেন, পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির পেছনের মূল কারণটা কী সেটা খুঁজে বের করতে হবে। অবশ্য ইন্ডিয়াতে পেঁয়াজ ১০০ রুপিতে কেজি কেনা বেচা হচ্ছে। শুধু একটা স্টেটে একটু দাম কম। তাছাড়া সার্বিকভাবে সেখানেও দাম বেশি। আমরা যেখান থেকে কিনছি আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে আবহাওয়ার কারণে অনেক পণ্যের উৎপাদন বাড়ে আবার উৎপাদন কমে। যেহেতু পেঁয়াজটা বেশিদিন রাখা যায় না, কেউ যদি এখন হোল্ডিং করে দাম বাড়িয়ে দু পয়সা কামাতে চায়, তাদের এটাও চিন্তা করতে হবে যে পেঁয়াজ তো পচেও যাবে। এখন তো পচা পেঁয়াজও শুকানোর জন্য চেষ্টা হচ্ছে-তাহলে মানুষকে কষ্ট দেওয়াটা কেন? এভাবে কারা এর পেছনে আছে সেটাও আমাদের দেখতে হবে।

তিনি বলেন, পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির পেছনের মূল কারণটা কী সেটা খুঁজে বের করতে হবে। অবশ্য ইন্ডিয়াতে পেঁয়াজের দাম ১০০ রুপিতে কেজি কেনা বেচা হচ্ছে। শুধু একটা স্টেটে একটু দাম কম। তাছাড়া সার্বিকভাবে সেখানেও দাম বেশি। আমরা যেখান থেকে কিনছি আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

সকাল ১১টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি সম্মেলন স্থলে এসে উপস্থিত হলে জাতীয় সংগীতের সুরে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব এবং বিশেষ অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা।

প্রধান অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক নির্মল রঞ্জন গুহ ও সদস্য সচিব গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু। এ সময় সাথে ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি মঈন উদ্দিন মঈন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম বেপারী। অভ্যর্থনা উপ কমিটির পক্ষ থেকে সহ-সভাপতি মতিউর রহমান মতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত পুরকায়স্থ ক্রেস্ট দেন। এ সময় সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব উপস্থিত ছিলেন। এরপর প্রধান অতিথিকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন দুই নেত্রী মাহফুজা বেগম সাঈদা এবং কাজী শাহানারা ইয়াসমিন।

শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পগোষ্ঠীর পরিবেশনায় দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। দলীয় সংগীত পরিবেশনার পর একে একে থিম সং পরিবেশনার সাথে নৃত্য পরিবেশন থেকে শুরু করে প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের গানে গানে সুরের মূর্ছনায় মেতে ওঠেন সম্মেলন স্থলে আসা নেতাকর্মীরা।

প্রথম অধিবেশনের পর বিকেলে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে কাউন্সিল অধিবেশন হবে। সেখানেই সংগঠনের পরবর্তী সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে। একই সঙ্গে ঘোষণা করা হবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম।