• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

পেঁয়াজের কেজি ২৫০, সবজির বাজারও ঊর্ধ্বমুখী

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৯  

পেঁয়াজ… হু হু করে বেড়েই চলছে দাম। তবে গত কয়েকদিনে দাম বাড়ার বিষয়টি আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে। শুক্রবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে খুচরা প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। আর গত চার দিনে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৮০ থেকে ১০০টাকা। পাশাপাশি অন্যান্য শাক-সবজির বাজারও ঊর্ধ্বমুখী।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, কল্যাণপুর, আগারগাও, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, কচুক্ষেত, উত্তরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।

বাজারে দেখা যায় একটু খারাপ মানেরও পেঁয়াজ, সেটাও মিলছে না ২২০ টাকার নিচে। কিছু কিছু দোকানে দেশি পেঁয়াজের দেখা মিলছে, তার দাম ২৫০ টাকা, কোথাও ২৬০ টাকা!

বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ না থাকায় তাদের কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। তবে যেসব ব্যবসায়ীর কাছে পেঁয়াজের মজুত আছে, তারা আরো বেশি লাভের আশায় পেঁয়াজ বাজারে ছাড়ছেন ধীরে।

পেঁয়াজ কিনতে আসা সুমি খাতুন বলেন, বৃহস্পতিবার খবরে দেখলাম, পেঁয়াজ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। রাত পোহাতেই সেই পেঁয়াজ কিভাবে ২৫০ টাকা হয়ে গেল, মাথায় আসছে না।

মিরপুর বাজারের খুচরা বিক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, সকালে আড়ত থেকে পেঁয়াজ কিনেছি ২৪০ টাকা কেজিতে। আর বিক্রি করছি ২৫০ টাকায়। আড়তেও দাম বেড়েছে, কারণ চট্টগ্রামে দাম বেড়েছে। হিলি দিয়ে তো পেঁয়াজ আসছে না।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বাজারের চিত্রও প্রায় একই। সেখানেও পেঁয়াজ ২৩০ টাকা থেকে ২৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে আগের মতো কেউ পেঁয়াজ কিনছে না। বিক্রি কমে যাওয়ায় বিক্রেতাদেরও মাথায় হাত পড়ছে।

কারওয়ান বাজারে পাতাসহ নতুন পেঁয়াজও উঠেছে। এককেজি পাতাসহ পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা। দাম কম হওয়ায় অনেকে এই কাঁচা পেঁয়াজও কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে সবজির বাজারেও চড়াভাব লক্ষ্য করা গেছে। কারওয়ান কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিকেজি সিম বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১১০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা ও গাজর ১০০ টাকায়। এছাড়া ঝিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, নতুন আলু ১০০ টাকা, পাতাকপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, মুলা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৭০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ২০০ গ্রাম ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে এসবের মধ্যে শশার দাম অন্যদিনের তুলনায় ছিল অনেক বেশি। প্রতিকেজি শশা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকায়।