• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

প্রতিকেজি গরুর মাংস সাড়ে তিনশ টাকায় বিক্রি সম্ভব

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

গো-খাদ্যের শুল্কমুক্ত আমদানি, বন্দর থেকে দ্রুত খালাস, ভর্তুকিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিলে প্রতিকেজি গরুর মাংস সাড়ে তিনশ টাকায় বিক্রি সম্ভব। ‘বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের’ (বিডিএফএ) সভাপতি ইমরান হোসেন এ দাবি করেছেন ।

শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবোদয় কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত খামারি সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি ।

বিডিএফএ সভাপতি বলেন, খামারিদের বাঁচাতে মাংস আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। গো-খাদ্যের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। এগুলো না করে মাংস আমদানির সুযোগ দেয়া হলে সেটি দেশের জন্য আত্মঘাতী হবে। এর ফলে দেশের খামারিরা শেষ হয়ে যাবে। খামারের সঙ্গে কোটি কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল। তাছাড়া, বাংলাদেশ বর্তমানে মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০০৯-১০ অর্থবছরে দেশে জনপ্রতি মাংস উৎপাদন ছিল ১১ দশমিক ৬০ গ্রাম, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ দশমিক ১৪ গ্রাম।

গো-খাদ্য সরবরাহ সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে দাবি করে ইমরান হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে বাংলাদেশে মাংসের দাম কিছুটা বেশি। তবে, এর জন্য খামারিরা দায়ী নয়, দায়ী যারা গো-খাদ্য বিক্রি করেন। তারা সিন্ডিকেট করে গবাদি পশুর খাবারের দাম যেন না বাড়াতে পারে, সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। ভর্তুকি দিয়ে গো-খাদ্য বিতরণ, গো-খাদ্য আমদানি শুল্কমুক্ত করা, বন্দর থেকে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ধরনের সুযোগ দিলে সাড়ে তিনশ’ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি সম্ভব হবে।

বিডিএফএ’র এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রায় এক হাজার খামারি অংশ নেন।