• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করবেন

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০১৯  

আগামীকাল বুধবার বহুল প্রতীক্ষিত চিলমারী-ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ এর শুভ উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্তঃনগর ট্রেন চালু হওয়ার খবরে খুশি, উত্তরাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জেলা কুড়িগ্রামের লাখো মানুষ। এখন শুধুই তাদের মাঝে প্রতীক্ষা, কখন চালু হবে সেই বহুল আকাঙ্খিত ট্রেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি গণ মাধ্যমে প্রচার করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। কষ্টের দিন শেষ হচ্ছে। দীর্ঘ ৪৮ বছর পর ‘আন্তঃনগর ট্রেনে’ কুড়িগ্রামের মানুষ নিরাপদে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করতে পারবে জেনে বেজায় খুশি তারা। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে ।

উত্তরাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে অবহেলিত জনপদের নাম কুড়িগ্রাম। এক সময় এ জেলার বেশির ভাগ মানুষের বসবাস ছিলো দারিদ্র সীমার নিচে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে, সেই বঞ্চনাকে পিছনে ফেলে অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বি হয়ে উঠে এ অঞ্চলের মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী আন্তঃনগর ট্রেন ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ চালুর খবরে গোটা জেলার মানুষ উচ্ছাসিত ও আনন্দিত। এ ট্রেন চালু হলে জেলার মানুষজন সমস্যা ছাড়াই ঢাকা যাতায়াত করতে পারবে, রাজধানীর সাথে যোগাযোগ বাড়বে। ফলে তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এই ট্রেন ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে তারা বিশ্বাস করে। দীর্ঘদিন থেকে আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবী ছিল জেলাবাসীর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে তিন দফা কুড়িগ্রাম সফর কালে জেলাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে একটি বিশেষ ট্রেন চালুরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী আগামীকাল বুধবার থেকে পূর্ণাঙ্গ আন্তঃনগর ট্রেনের সুবিধা পেতে যাচ্ছে জেলাবাসী। এর আগে ২০১৮ সালে কুড়িগ্রাম-কাউনিয়া পর্যন্ত একটি সাটল ট্রেন চালু হলেও, তা নিয়মিত চলাচল করেনি।

উলিপুরের বাসিন্দা শাহীনুর রহমান (৬৫) জানান, “বাহে, ৬৬ সালে যখন প্রথম ট্রেন আইসে, তখন বাপের পিটিত চড়ি ট্রেন দ্যাখপার গেছনু, এ্যালা ট্রেন আর ভাল চলে না’। উলিপুরের মানু (৩০) মালেক (৩০), আব্দুল শেখ (৫৫), জানান, ‘বাহে হামরা স্বপ্নেও ভাবি নাই কুড়িগ্রাম-ঢাকা ট্রেন চালু হবে। কিন্তু স্বাধীনতার পর, এই প্রথম ঢাকা-কুড়িগ্রাম সরাসরি ট্রেন চালু হওয়ায় হামরা খুব খুশি’। তারা আরো বলেন, ২০০১সালে বিএনপির সময় হামার জেলার লোকাল ট্রেনগুলা সব বন্ধ করি দিছিল। আজ আওয়ামীলীগ আসিয়া আবারো হামার দাবী মানি নিলো।“

এলাকাবাসী বিশ্বাস করে, দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় কম খরচে নিরাপদে রাজধানী যাওয়া-আসাসহ জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। এছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি জেলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এই আন্তঃনগর ট্রেনটি।

শিক্ষার্থী সরদার মোঃ আখলাকুল হাসান অনিক, কল্লোল, মৌসুমি, ফারুক, বুলবুলি আক্তারসহ অনেকেই জানান, এই ট্রেন চালু হওয়ায় সাধারণ শিক্ষিার্থীদের উপকার হবে। দীর্ঘদিন থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থায় পিছিয়ে ছিল। এখন সময় মত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গিয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে। এতে করে বাড়তি অর্থ ব্যয় হবে না।

বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল জেনারেল ম্যানেজার, মো: হারুন অর রশীদ জানান, রেল লাইনের কিছু সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, ট্রেনের গতি বাড়ানোসহ, অন্যান্য যে সমস্যাগুলো রয়েছে তা আমরা দ্রুত শেষ করব। আগামীকাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আন্তঃনগর ট্রেনের উদ্বোধন করবেন, তার প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ পর্যায়।