• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাচ্ছে নীলফামারীর ৬৩৭ পরিবার

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ জানুয়ারি ২০২১  

মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে আশ্রয়স্থল পাচ্ছেন নীলফামারীর ৬৩৭ জন দরিদ্র পরিবার। সরকার প্রধানের দেয়া প্রতিশ্রুতির অংশ হিসাবে নীলফামারীর ছয় উপজেলার দরিদ্রদের জন্য গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ-২ প্রকল্প এর আওতায়  সরকারি খাস জমি নির্বাচন করা হয়। ইতোমধ্যে এসব ঘরের নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ের দিকে। নির্মাণ কাজ পর্যবেক্ষণ করছেন জেলা প্রশাসক ও স্ব স্ব উপজেলা প্রশাসন। এ জন্য জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরীকে সভাপতি করে ছয় সদস্যের জেলা কমিটি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে উপজেলা কমিটি গঠিত হয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট সুত্র মতে, প্রথম ধাপে জেলার সদরে ৯৯টি, সৈয়দপুর উপজেলায় ৩৪টি, জলঢাকা উপজেলা ১৪১টি, ডোমার উপজেলায় ৩৮টি, ডিমলা উপজেলায় ১৮৫টি এবং কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় ১৪০টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে জেলার যেসব স্থানে সরকারের খাস জমিতে এই সকল সেমিপাকা বসত ঘর তৈরী করা হচ্ছে। যার মধ্যে দুটি কক্ষ ও একটি করে বারান্দা, বাথরুম ও রান্নাঘর রয়েছে। দুই শতাংশ জমির উপর নির্মিতব্য প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ এক লক্ষ ৭১ হাজার টাকা করে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে চার হাজার করে টাকা। এই প্রকল্পে ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, প্রবীণ ভূমিহীন ব্যক্তিদের উপকারভোগী হিসেবে বাছাই করা হয়েছে।  

বসত ঘর নির্মাণে জেলা প্রশাসককে প্রধান করে একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সরকারি কর্মকর্তা, প্রকৌশলী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব  রাখা হয়েছে। কমিটি সদস্যরা প্রতিনিয়ত নির্মাণাধীন কাজের অগ্রগতি ও মান নিয়ন্ত্রণে কর্ম এলাকা পরিদর্শন করছেন। 

নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিনা আকতার বলেন, কাজের মান ঠিক রাখতে আমরা কোন আপোষ করছিনা। এজন্য কেনাকাটাসহ সবকিছুতেই সার্বক্ষণিক কাজের তদারকি প্রতিনিয়ত করা হচ্ছে।

সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ বলেন, আমরা নিয়মিত কাজগুলো তদারকি করছি। পাশাপাশি জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মহোদয় নিয়মিত পরিদর্শন করছেন। 

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেয়া এই প্রকল্প অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে। নির্দিষ্ট মেয়াদের আগেই উপকারভোগীদের হাতে ঘরের চাবি তুলে দিতে পারবো।