• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের বাড়ি পেল ১০ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবার

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০  

স্বপ্নেও ভাবিনি ইটের পাকা বাড়িতে ঘুমাতে পারব। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছে। কথাগুলো আবেগে আপ্লুত হয়ে বলছিলেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউপির সহজপুর গ্রামের সুবল মুরমু।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাঁওতাল পরিবারগুলোর জীবনমান উন্নয়নে দিনাজপুরের খানসামায় ১০টি পরিবারকে ‘আধা পাকা ইটের বাড়ি’ উপহার হিসেবে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খানসামা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের হতদরিদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাঁওতাল পরিবারগুলো এমন বাড়ি পেয়ে আনন্দিত। 

বাড়ি পেয়ে কৃষি পেশার হতদরিদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা নতুন আশার আলো দেখছেন। খামারপারা ইউপির ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের সুবিধাভোগী বুদরায় হেমরব বলেন, তাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ছয়জন। বাঁশের বেড়া ও টিনের ছাউনির কুঁড়ে ঘরে বসবাস করতেন। প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেয়া বাড়িটি বিনামূল্যে পেয়ে অনেক খুশি।

ইউএনও খানসামার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বরাদ্দ অনুযায়ী খানসামার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে পাঁচটি, সহজপুর গ্রামে তিনটি, পূর্ব ও পশ্চিম গোবিন্দপুর গ্রামে দুটি মিলে মোট ১০টি সুন্দর ডিজাইনের সেমিপাকা বাড়ি নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে সিলিংসহ চৌচালা রঙিন টিনের ছাউনির দুইটি রং করা পাকা ঘর। মেঝে পাকা করে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘরে একটি দরজা ও দুইটি করে জানালা। ঘরের একপাশে করা হয়েছে টয়লেট, টিউবওয়েল এবং অপরপাশে একটি পাকা বারান্দা ও সিঁড়ি। এ প্রকল্পে ১০টি বাড়ি নির্মাণের জন্য মোট ব্যয় হয়েছে ২২ লাখ টাকা।

জীবনমান উন্নয়নে তাদের নতুন ১০টি পাকা বাড়ি দেয়ার পাশাপাশি সন্তানদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে দেয়া হচ্ছে শিক্ষাবৃত্তি, শিক্ষা উপকরণ। যেমন- স্কুল ব্যাগ, খাতা, ড্রয়িং পেন্সিল, জ্যামিতি বক্স, রেইন কোট এবং সাংস্কৃতিক ও বিনোদনের জন্য ক্রীড়াসামগ্রী আর বাদ্যযন্ত্র। এছাড়া শীতবস্ত্র, স্বাস্থ্য উপকরণ, আসবাবপত্র, বাইসাইকেল প্রদান ও কর্মসংস্থানের জন্য ঝুট কাপড় থেকে পাপোশ তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। 

খানসামার ইউএনও কৃষিবিদ আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনামতে প্রতিটি গৃহহীনের গৃহের সংস্থান করার অংশ হিসেবে এলাকায় খোঁজ নিয়ে প্রকৃত দরিদ্র ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী পরিবার বাছাই করা হয়েছে। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী বাড়িগুলো তৈরি করে তাদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে তারা বাড়িতে বসবাস শুরু করেছেন। তাদের জীবনমান উন্নয়নে এবং যেকোনো প্রয়োজনে সর্বদা পাশে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন।