• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

প্রশান্তির খোঁজে স্বপ্নপুরী-রামসাগরে

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০১৯  

দিনাজপুরে বিনোদন ও দর্শনীয় স্থানের মধ্যে স্বপ্নপুরী, রামসাগর, গোর-এ-শহীদ বড় ময়দান, পৌর শিশুপার্ক উল্লাখযোগ্য। আর দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতেই বিনোদনকেন্দ্রগুলোকে সাজানো হয়েছে অপরূপ সাজে।

সপ্তাহব্যাপী কর্মযজ্ঞ শেষে একটু প্রশান্তির খোঁজে এসব স্থানেই ছুটে যায় দিনাজপুরবাসী। এবার কোরবানির ঈদে লম্বা ছুটি পাওয়ায় দর্শনীয় স্থানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।

ঈদের পরদিন থেকে সপ্তাহব্যাপী বিকেল চারটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত ভিড় লেগেই আছে স্বপ্নপুরী, গোর-এ শহীদ ময়দান, রামসাগরে।

উপজেলা ভিত্তিক কয়েকটি বিনোদনকেন্দ্র গড়ে উঠলেও চার কিলোমিটার দূরের সিটি পার্ক আর আট কিলোমিটার দূরের রামসাগর জাতীয় উদ্যান ছাড়া দিনাজপুর জেলা সদরে তেমন কোনো বিনোদনকেন্দ্র নেই। তাই এখানকার মানুষ বেছে নিয়েছে গোড়-এ-শহীদ ময়দানকে।

সরেজমিন দেখা গেছে, ২৩ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত গোর-এ শহীদ ময়দানে বন্ধু-পরিবার নিয়ে এসেছেন অনেকেই। ময়দানের একপ্রান্তে নাগরদোলা, চরকি, নৌকা, দোলনা, ট্রেনসহ বিভিন্ন রাইড বসানো হয়েছে।

ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে আসা মো. মোতালেব হোসেন বলেন, ঈদের দিন তো কোথাও বেড়ানোর সুযোগ পাওয়া যায় না। তাই সব কাজ শেষ করে সন্তানদের নিয়ে গোর-এ শহীদ বড়  ময়দানে এসেছি। সুবিশাল খোলা মাঠে এসে মনটা ভালো হয়ে গেছে। দিনাজপুর সদরে কিছু বিনোদনকেন্দ্র প্রয়োজন। এতে আমাদের ভোগান্তি কমবে।

গোর-এ-শহীদ ময়দানের দক্ষিণ প্রান্তেই দিনাজপুর পৌরসভার একমাত্র শিশু পার্ক। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় অকেজো হয়ে আছে পার্কার দোলনা ও চরকি। পার্কটি এখন শরীর চর্চার জন্য জনপ্রিয়।

দিনাজপুর জেলা সদরের আট কিলোমিটার দূরে অবস্থিত প্রাকৃতিক শোভা ও সৌন্দর্যের লীলাভূমি ও দিনাজপুরের রাজা-মহারাজাদের অমর কীর্তি রামসাগর দীঘি। দীঘির পাড়ের উচু টিলায় নির্মিত মনোরম ডাকবাংলোটি দেশি ও বিদেশি পর্যটকের টানে অমোঘ আকর্ষণে। স্নিগ্ধ পরিবেশে ক্লান্তি দূর করতে রামসাগরে পর্যটকরা ভিড় করেন সারাবছরই।

রামসাগরের কিউরেটর জানান, ২০০১ সালে রামসাগরকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়। এরপর দিনাজপুর বন বিভাগ এখানে চারশ প্রজাতির গাছ লাগিয়েছে। দীঘির চারপাশে প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়কের দুই ধারে লাগানো হয়েছে দেবদারু, ঝাউ ও মুছকন্দ ফুলের গাছ। দুই একর জমির উপর নির্মিত হয়েছে কৃত্রিম শিশু পার্ক। এই পার্কে জিরাপ, বন মানুষ, ভাল্লুক, হাতিসহ ২০টি প্রাণির প্রতিকৃতি রয়েছে।

দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে বিনোদনকেন্দ্র নির্মাণে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। পৌর শিশু পার্কের সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। রামসাগরে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় পুলিশ ক্যাপ বসানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।