• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ফল প্রকাশের এক সপ্তাহের মধ্যে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২০  

মে মাসের ৩১ তারিখে মাধ্যমিক ও সমমান (এসএসসি) পরীক্ষার ফল প্রকাশ করবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। এরপর জুন মাসের ৭ তারিখ থেকেই শুরু হবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, করোনার সময় খরচ হয়ে যাওয়া দিনের ক্ষতি পোষাতেই ভর্তি কার্যক্রম দ্রুত শেষ করা হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক হারুন অর রশীদ বলেন, দেশে করোনা পরিস্থিতিতে এবার আমরা ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে পারিনি। এই সময়ের মধ্যে সাধারণত একাদশের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়। এজন্য ফল প্রকাশের পর আমরা আর দেরি করতে চাচ্ছি না। বেশি সময় নষ্ট হলে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হবে। আমরা তাদের সেশনজটের বিপদে ঠেলে দিতে পারি না।

নির্দিষ্ট কোনো তারিখ না বললেও ফল প্রকাশের এক সপ্তাহের মধ্যে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানান তিনি। তবে কলেজ পরিদর্শন শাখার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৭ জুন থেকেই শুরু হবে ভর্তি কার্যক্রম।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম ৭ জুন থেকে শুরু হয়ে ২৩ জুলাই পর্যন্ত চলবে। এতে প্রথম ধাপের ভর্তি আবেদন ৭ থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত গ্রহণ করা যাবে।

পরীক্ষণের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা গণপরিবহনের অভাবে যথাসময়ে ওএমআর শিট বোর্ডে পাঠাতে না পারায় এমনটা হয়েছে। পরে ডাক বিভাগের মাধ্যমে শিট পাঠিয়ে গত এক সপ্তাহে তা যাচাই বাছাই করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ তারিখে ফল প্রকাশ করা হবে।

জানা গেছে, এ বছর ফল প্রকাশে কোনো আনুষ্ঠানিকতা রাখা হবে না। পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনে সম্পন্ন হবে। ফোন নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে ফল চলে যাবে ব্যক্তিগত ফোনে। এমনকি একাদশের ভর্তি কার্যক্রমও অনলাইনে সম্পন্ন হবে। করোনা পরিস্থিতি শেষে তাদের ক্লাস শুরু হবে। সেক্ষেত্রে আগস্ট মাসের আগে তাদের ক্লাস শুরুর কোনো সম্ভাবনা নেই।  

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, এই মাসে ফল প্রকাশ করার কথা রাখতে পেরেছি আমরা। এখন ভর্তি কার্যক্রমটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে চাই। এটি হবে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ভর্তি কার্যক্রম জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করতে পারলে আগস্টে ক্লাস শুরু করা যাবে।

তিনি বলেন, আমরা ৫০ দিবসের মধ্যে ভর্তির পুরো প্রক্রিয়াটি সমাপ্ত করতে চাই। এই সময়ে ফল পুনঃপরীক্ষণ সহ অন্যান্য কাজও নিয়মিত চলবে।