• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ফুলবাড়ীতে তলিয়ে গেছে ৪০০ বিঘা জমির ধান

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২০  

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ভারী বর্ষণে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় ৪০০ বিঘা জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় দেড় শ  কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। গত দুই দিনের ঝড় ও ভারী বর্ষণে উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউপির সাতটি ও দৌলতপুর ইউপির দুটি মৌজায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় ৪০০ বিঘা জমির বোরো ধান তলিয়ে যায়।

খয়েরবাড়ী ইউপির মহদীপুর গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে তার ৫ বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে। একই ভাবে তলিয়ে গেছে তার ভাই হাফিজুর রহমান ও সিরাজুলের ধানও।

বারাইপাড়া বাচ্চু মিয়া বলেন, তার দেড় বিঘা জমি তলিয়ে গেছে। একইভাবে তলিয়ে গেছে মহদীপুর গ্রামের রুহুল আমিন, আলম মিয়াসহ লালপুর, মহেষপুর পূর্ব নারায়ণপুর কিসমতলালপুর গ্রামের প্রায় ১৫০ কৃষকের ধান।

কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ৩০ মণ করে বোরো ধান উৎপাদন হলেও, পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ৩০ ভাগ ধানও তারা ঘরে তুলতে পারছেন না। পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার কারণে ধান কাটার শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছে না। এই কারণে প্রতিবিঘা জমিন ধান কাটতে তাদেরকে তিন হাজারের অধিক টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এতে করে তাদের মাথায় হাত পড়েছে।

খয়েরবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের মন্ডল বলেন, গত কয়েক বছর থেকে পানি নিষ্কাশনের পথ রোধ করে ঘোনাপাড়া মৌজায় পুকুর খনন করায়, খয়েরবাড়ী ইউপির পূর্ব নারায়ণপুর, লালপুর, মহদীপুর, মহেষপুর, কিসমত লালপুর উত্তর লক্ষিপুর, আম্রবাড়ী ও দৌলতপুর ইউপির গড়পিংলাই ও বারাইপাড়া মৌজার প্রায় ২২শ বিঘার জমির ফসল বিনষ্ট হচ্ছে। এসব জমির ৬০ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। বাকি ৪০ ভাগ জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এই জন্য তিনি পানি নিষ্কাশনের পথ সৃষ্টি করার জন্য সরকারের নিকট দাবী জানিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এটিএম হামিম আশরাফ বলেন, বর্তমানে অনেক জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। ওই এলাকায় ২০ ভাগ জমির ধান তলিয়ে গেছে। এতে করে ১০ ভাগ ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান।