• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

ফেসঅ্যাপের কল্যাণে হারানো ছেলেকে ফিরে পেলেন বাবা-মা

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০১৯  

ফেসঅ্যাপের মতো প্রযুক্তি নিয়ে বেশ সমালোচনা হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরিসহ নানা অভিযোগ আনা হয়েছে এই প্রযুক্তির বিরুদ্ধে। তবে এই প্রযুক্তির কারণে চীনে একটি পরিবারের মুখে হাসি ফুটেছে।

চীনের গুয়াংজু শহরে ফেসঅ্যাপের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১৮ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া ছেলেকে খুঁজে পেলেন মা-বাবা। এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেশি বয়সের সম্ভাব্য ছবি তৈরি করে খোঁজ চালিয়ে সাফল্য পেল পুলিশ। 

ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা মেট্রো'র প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

২০০১ সালের ৬ মে নিখোঁজ হয় বছর তিনের ছোট্ট ইউ ওয়েইফেঙ। ইউ-এর বাবা একটি নির্মাণাধীন বিল্ডিং-এ মিস্ত্রির কাজ করতে যাওয়ার সময়ে তাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল। বিল্ডিং-এর সামনের মাঠে শেষ বার খেলা করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। তখনই অপহরণ করা হয় ছোট্ট ইউকে। কাজ শেষে বিল্ডিং-এর বাইরে বেরিয়ে ইউকে দেখতে পাননি তার বাবা। এরপর হন্যে হয়ে ঝেঙের খোঁজ করে তার মা বাবা। পুলিশে ডায়েরি করেও কোনও সুরাহা হয়নি।

গুয়াংজু পুলিশ জানিয়েছে, সে সময়ে বহু চেষ্টা করেও ইউ-এর খোঁজ পায়নি পুলিশ। সম্প্রতি ফেসঅ্যাপের জনপ্রিয়তা বাড়ার পর নতুন বুদ্ধি আসে পুলিশের মাথায়। বানানো হয় ফেসঅ্যাপের মতো বয়সের সঙ্গে মুখের আদল বদলের প্রযুক্তি। এরপর এই ধরনের কেসগুলো আবার নতুন করে খোলে পুলিশ। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইউ-এর ৩ বছর বয়সের একটি ছবি থেকে ২১ বছর বয়সের মুখের ধারণা করা হয়। তার পরে গুয়াংজু-এর আশপাশের শহরগুলোতে খোঁজ চালায় পুলিশ। পুলিশের ডাটাবেস থেকে ওই মুখের আদলের সঙ্গে মিল আছে এমন প্রায় ১০০ জন ২১ বছর বয়সী যুবককে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়। চুলচেরা বিশ্লেষণের পর তার মধ্যে একজনকে আলাদা করে পুলিশ। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ডিএনএ টেস্ট করে জানা যায়, এই যুবকই ১৮ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া ইউ।

এদিকে এই ১৮ বছর পালক মা-বাবার কাছে দত্তকপুত্র হিসেবে বেড়ে উঠেছে সে। পালক মা-বাবার পদবী লি ব্যবহার করে সে। প্রথমে পুলিশের দাবি বিশ্বাসই করতে পারেনি যুবক। তারপর ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট আসার পর কান্নায় ভেঙে পরে সে।

২০ জুলাই এক আবেগঘন মুহূর্তে মা-বাবার সঙ্গে ১৮ বছর পর দেখা হয় তার। ছেলেকে এভাবে ফিরে পাবেন কখনো ভাবেননি ইউ-এর মা বাবা। ছেলেকে পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন তারা।

সংবাদমাধ্যমকে ইউ-এর বাবা বলেন, এভাবে ফিরে পাব ভাবিনি। ওকে যত্ন করে বড় করার জন্য ওর পালক মা-বাবাকে ধন্যবাদ। ওর এখন দুটো বাবা। ওর আরেক বাবা আজ থেকে আমার ভাই।