• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

বসল ১৮তম স্প্যান: পৌনে তিন কিলোমিটার দৃশ্যমান পদ্মাসেতু

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯  

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে পদ্মাসেতুর ১৮তম স্প্যান বসানো হয়েছে। বুধবার দুপুরে সেতুর ১৭ ও ১৮ নম্বর পিলারের উপর ত্রি-ই নামে এ স্প্যানটি বসানো হয়। সেইসঙ্গে দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর দুই হাজার ৭০০ মিটার তথা প্রায় পৌনে তিন কিলোমিটার।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার মাওয়া কন্সট্রাক্টশন ইয়ার্ড থেকে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের তিয়ান-ই স্প্যানটি নেয়া হয় সেতুর নির্ধারিত পিলারের কাছে। 

১৭তম স্প্যান বসানোর মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে পদ্মাসেতুর ১৮তম এ স্প্যান বসানোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর।

তিনি জানান, ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে স্প্যান ত্রি-ই নিয়ে নির্ধারিত পিলারের কাছে পৌঁছায়। এরপর সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা স্প্যান বসানোর কাজ শুরু করে। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে দুপুর ১ টার দিকে স্প্যানটি বসানোর কাজ শেষ করে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।

প্রকৌশলী সূত্রে জানা গেছে, পদ্মাসেতুর মোট ৪২টি পিলারের মধ্যে বর্তমানে কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৩৫টির। সেতুর ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে বসানো হয়েছে ৪১০টি রেল স্ল্যাব। ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ১২৫টি স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হয়েছে। পদ্মাসেতুর মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে মাওয়ায় এসেছে ৩৩টি স্প্যান। এরমধ্যে ১৮টি স্প্যান স্থায়ীভাবে বসে গেছে। তাছাড়া সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ এবং সেতুর আর্থিক অগ্রগতি ৭৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৪ শতাংশ।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনে কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে।