• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

বাঙ্গালী নারীর আবেগের নাম টাঙ্গাইল শাড়ি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ জানুয়ারি ২০২০  

নারীর অনন্য প্রতিচ্ছবি হচ্ছে শাড়ি। এক কথায় বাঙ্গালি নারীর প্রতীক শাড়ি। বাংলাদেশের প্রতিটি নারীর সৌন্দর্য বহন করার সঙ্গে সঙ্গে তাদের আবেগ প্রকাশ করে শাড়ি। প্রিয় মানুষটির জন্য ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম একটি মাধ্যমও শাড়ি। বিভিন্ন নামের ও নানা ডিজাইনের শাড়িতে নারীরা নিজেদের সাজায় মনের মতো করে।

সব নারীর চেতনায় জড়িয়ে থাকে শাড়ির নানারূপ। তবে সবকিছুর উর্দ্ধে স্থান ধরে আছে টাঙ্গাইল শাড়ি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে এ শাড়ি। খুবই মানানসই এই শাড়ি নারীরা বদলে নিতে পারে সময়োপযোগী করে। তাছাড়া বেশ আরামদায়ক হয় এই শাড়ি।  

একটু লক্ষ্য করলে দেখা যায় বংশ পরস্পরায় এই শাড়ির বুনন রীতি টিকে আছে। সেই সঙ্গে আছে রঙ, নকশা, উপকরণ। তাই এই শাড়ি আজও আধুনিক। তাঁতে বোনা সুতির শাড়ির সারিতে এগিয়ে আছে টাঙ্গাইল শাড়ি।

শাড়ি তৈরির স্থান
ইতিহাস ঘাটলেই দেখা যায়, টাঙ্গাইল জেলার সদর, দেলদুয়ার, কালিহাতি, বাসাইল ও নাগরপুর উপজেলার কয়েকটি স্থানে এই শাড়ির বুনন দেখা গেলেও, বেশিরভাগ শাড়ি তৈরি হয় দেলদুয়ারের পাথরাইলে। তাঁত শিল্পীর মতে, ১৫০ বা ২০০ বছর ধরে এখানে এই শাড়ি তৈরি হচ্ছে।

টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন
টাঙ্গাইল শাড়ি বোনার যে মূল যন্ত্র তাতে হাতচালিত তাঁত থাকে, তাকে বলে পিটলুম। শাড়িতে নকশা ফুটিয়ে তোলার জন্য নকশাটা প্রথমে করা হয় গ্রাফ কাগজে। তারপর সেই নকশা ধরে কাগজে চৌকো চৌকো ছিদ্র করা হয়। ছিদ্রে সুতো ঢুকিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয় শাড়ির নকশা। শাড়ি তৈরির জন্য সুতার যে প্রস্তুতি সেই সুতা কাটার কাজটা ৯৯ শতাংশ করেন নারীরা। এখন নানা ধরণ ও দামের শাড়ি তৈরি হয়। দাম ৩৩০ থেকে ৮০০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

টাঙ্গাইল শাড়ি হচ্ছে বাংলাদেশি শাড়ি। যার আছে নিজস্ব স্টাইল। আর হাতের তাঁতে তৈরি সুতির যে আবেদন তার তুলনা আর কোথাও পাওয়া যাবেনা। তাইতো শাড়ি নিয়ে কবিদের লেখা নানান কবিতা। সব বিখ্যাত কবিরাই শাড়িতে ফুটিয়ে তুলেছেন প্রেম, ভালোবাসা, বেদনা আর আবেদন। এরই মধ্যে-

আমি পূরব দেশের পূরনারী

গাগরি ভরিয়া এনেছি অমৃতবারি

এনেছি শত ব্রত পার্বণ উৎসবে

এনেছি সারস হংস কলরব

এনেছি নব উষর সিন্ধুর

মেঘ ডমরুর সাথে মেঘ ডুমুর শাড়ি। (কাজী নজরুল ইসলাম)