• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

বিএনপিতে অবহেলার পাত্র খালেদা জিয়া

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০২১  

দণ্ডিত তারেক রহমানের সাম্রাজের দাপটে বিএনপিতে অবহেলার পাত্রে পরিণত হয়েছেন দলটির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। বেগম জিয়ার দিন ও গুরুত্ব ফুরিয়ে যাওয়ার গুঞ্জন এতদিন পর দলের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রকাশ পেয়েছে।

জানা গেছে, দলের চেয়ারপার্সনের দায়িত্বে থাকা খালেদা জিয়াকে মূল্যায়ন করছে না বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারেক সাম্রাজ্যের অনুসারীর খপ্পড়ে পড়ে গর্ভধারিণী মাকে অবহেলার চূড়ান্ত খাদে ফেলে দিয়েছেন তারেক।

গত সোমবার দুপুরে আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দলীয় অনুষ্ঠানের ব্যানারে প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে জিয়াউর রহমানের নাম ছিল। আর প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে যথাক্রমে তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নাম ছিল। তবে এত গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের ব্যানারে খালেদা জিয়ার নামের কোনো চিহ্ন খোঁজে পাওয়া যায়নি।

সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়াকে চূড়ান্তভাবে অপমান করায় অনেক নেতা ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। দলের মধ্যে খালেদা জিয়ার গুরুত্ব কমে যাওয়ার গুঞ্জন প্রকাশ্যে এসে গেছে। আর এর নেপথ্য খলনায়ক আর কেউ নন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি কৌশলে গর্ভধারিণী মাকে মাইনাস করে নিজেই দলের সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করছেন, গড়েছেন নিজের আলাদা এক সাম্রাজ্য।

দায়িত্বশীল সূত্রের তথ্যমতে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত বিএনপির অনুষ্ঠান সম্পর্কে দলীয় চেয়ারপার্সন হিসেবে খালেদা জিয়াকে সেভাবে অবহিত করা হয়নি। এমনকি শেষ মুহূর্তে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল নেত্রীর বাসভবন ‘ফিরোজা’তে গেলেও তারেক রহমানের চাপে বিশদ কিছু বলতে পারেননি। কুশল বিনিময়ের পর অন্য বিষয়ে কথা বলে দ্রুত ‘ফিরোজা’ ত্যাগ করেন। পরে খালেদা সোমবার রাতে ব্যানারে তার ছবি না থাকার বিষয়ে জানতে পারেন এবং কষ্ট পান।

জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ ঘটনায় খালেদা জিয়া মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। কারণ বর্তমানে নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় থাকলেও পরবর্তী দলীয় কাউন্সিল না হওয়া পর্যন্ত চেয়ারপার্সন হিসেবে তিনিই বহাল রয়েছেন। তাই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত দলীয় অনুষ্ঠানের ব্যানারে তার ছবি না থাকাটা শুধু দুঃখজনকই নয়, এটা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। যে বা যারা এটি করেছে, তাদের সঙ্গেও যে পরবর্তীতে এমনটা হবে না, তার কী গ্যারান্টি! সেই সঙ্গে আরেকটা কথা মনে রাখা দরকার, খালেদার নেতৃত্বেই বিএনপি আজ এতদূর এসেছে। তাই তাকে উপেক্ষা করার দুঃসাহস তারা কোথায় পায়? এর জবাব, পরবর্তী প্রজন্মই দেবে। যেটা সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, দলের মধ্যে যা হয়েছে কিংবা হচ্ছে সব তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ীই হচ্ছে। কারণ, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) পরিবর্তে তিনিই এখন দলের সর্বেসর্বা। তার নির্দেশ উপেক্ষা করার সাধ্য কার!

তিনি বলেন, দলের সবাই তারেকের কথামত চলছে। এমনকি রোববার রাতে বোতাম টিপে দলীয় কার্যালয়ের সাজসজ্জা ও চিত্র প্রদর্শনী কর্মসূচির উদ্বোধন হয় তার ইশারাতেই। কিন্তু অন্তত ব্যানারে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) ছবি থাকাটা উচিত ছিল। কারণ, তিনি এখনো দলীয় চেয়ারপার্সন।