• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

বিএনপিতে বেড়েই চলেছে ফখরুলের আধিপত্য,আতংকিত তারেক

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮  

দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্ত থাকার পর বিএনপির জনপ্রিয় ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারমুক্ত হয়ে দলের পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব হওয়ার পর থেকেই বিএনপিতে তার প্রভাব পরিলক্ষিত হতে শুরু করে। তারেকের অনুপস্থিতিতে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করে চলেছেন দীর্ঘ দিন ধরে।

২০০৮ সালে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান তারেক রহমান। দশ বছর কেটে গেলেও তারেক রহমানের চিকিৎসা যাত্রা এখনো শেষ হয়নি। গত দশ বছর ধরে তারেক রহমান যখন লন্ডনে চিকিৎসার নামে আরামদায়ক জীবনযাপনে ব্যস্ত এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বলতে শুধু মাত্র ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে বক্তৃতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন তিনি।

দীর্ঘ দিন ধরে চলা তারেকের এমন ফেসবুক লাইভ কেন্দ্রীক রাজনৈতিক সংস্কৃতি ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে দলের নেতাকর্মীদের মনে। আর ঠিক এই সুযোগটাই যেন লুফে নিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিজের ক্লিন ইমেজ থাকায় আগে থেকেই তিনি মোটামুটি গ্রহণযোগ্য ছিল দলের নেতাকর্মীদের মাঝে। পরবর্তীতে  সকল রাজনৈতিক আন্দোলনে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন, তিনি নিজেও শিকার হয়েছেন নানা রকম নির্যাতনের। ফলশ্রুতিতে  তিনি হয়ে উঠেছেন দলের নেতাকর্মীর কাছে শ্রদ্ধার পাত্র এবং গ্রহণযোগ্য নেতা।

চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালত কতৃক দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বেগম জিয়ার কারাবাসের পর থেকেই বিএনপি শতভাগ ফখরুলের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তার একক সিদ্ধান্ত এবং নেতৃত্বেই মূলত সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।

গণফোরামের ড. কামাল, নাগরিক ঐক্যের মান্না, জাসদের আ স ম আব্দুর রবসহ বিভিন্ন শরিক দলের সাথে বিএনপির জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামের নতুন যে জোট গঠন হয়েছে তা মূলত মির্জা ফখরুলের উদ্যোগেই গঠিত হয়েছে।

বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণাও চলমান রয়েছে মির্জা ফখরুলের দিক নির্দেশনা ও পরিকল্পনায়। নিজের নির্বাচনী এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ফখরুল।

অন্যদিকে লন্ডনে নির্বাসনে থাকা তারেক রহমান দলের ওপর মির্জা ফখরুলের এমন একক কর্তৃত্ব মেনে নিতে পারছেন না। লন্ডনে তারেকের ঘনিষ্ঠ সূত্র হতে জানা গেছে, এসব কারণে দলের ওপর নিজের কর্তৃত্ব হারানোর সংশয় কাজ করছে তারেক রহমানের মনে। ফলে ধীরে ধীরে তারেকের সাথে ফখরুলের সম্পর্কের অবনতি হতে  শুরু করে, সাম্প্রতিক সময়ে তা প্রকট আকার ধারণ করেছে বলেও শোনা যাচ্ছে। নির্বাচনে করণীয় কোনো কিছু নিয়েই তারেক ফখরুলের আলোচনা হচ্ছে না। নিজেদের মধ্যে এক প্রকার কথা বলা বন্ধ রেখেছেন। দলের বেশিরভাগ সিনিয়র নেতারাও ফখরুলের পক্ষে রয়েছেন। তাদের মতে ফখরুলর নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীরা দেশে ব্যস্ত নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে জনসমর্থন আদায়ে।

অন্যদিকে তারেক লন্ডনে বসে ক্রমাগত নাশকতা তৈরির মাধ্যমে নির্বাচন বানচাল করার পায়তারা করে চলেছেন, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।