• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

বিধি লংঘন করে বেরোবি`তে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০১৯  

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিধি লংঘন করে একের পর এক বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়া হলে শিক্ষকদের মাঝে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন, ২০০৯ ( ২০০৯ সনের ২৯ নং আইন ) এর ২৮(৩) বিধি মোতাবেক- ‘যদি কোন বিভাগে অধ্যাপক না থাকেন তাহা হইলে ভাইস-চ্যান্সেলর সহযোগী অধ্যাপকের মধ্যে হইতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পালাক্রমে একজনকে বিভাগীয় প্রধান নিযুক্ত করিবেনঃ তবে শর্ত থাকে যে, সহযোগী অধ্যাপকের নিম্নের কোন শিক্ষককে বিভাগীয় প্রধান পদে নিযুক্ত করা যাইবে নাঃ আরও শর্ত থাকে যে, সহযোগী অধ্যাপক পদমর্যাদার কোন শিক্ষক কোন বিভাগে কর্মরত না থাকিলে, সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রবীণতম শিক্ষক উহার প্রধান হইবেন।‘

কিন্তু গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের ক্ষেত্রে এই আইনের কোন তোয়াক্কাই করা হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে একজন সহযোগী অধ্যাপক থাকা সত্ত্বেও সহকারী অধ্যাপককে এবং ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে একজন অধ্যাপক ও দুইজন সহযোগী অধ্যাপক থাকা সত্ত্বেও একজন সহকারী অধ্যাপককে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ দুটিতে কর্মরত অধ্যাপক এবং সহযোগী অধ্যাপকগণকে অসম্মান করা হয়েছে বলে মনে করেন শিক্ষক সমিতির নেতারা।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি, গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, ‘যেভাবে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাতে বিধি এবং সংবিধি দুইটাই লংঘন করা হয়েছে। বিষয়টি শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকদের জন্য অসম্মানজনক নয় বরং পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্যই বিষয়টি অসম্মানজনক এবং হতাশাজনক।’

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের সহকারী প্রশাসক তাবিউর রহমান প্রধান বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে নিয়মের কোন প্রকার লঙ্ঘন করা হয় নি।’

সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ এর মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।