• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ নির্বাচিত হবেন না’

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৮  

৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অনেকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেও এবার একটি আসনেও এমনটি হবে না বলে ধারণা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের।  গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই এবং সেটি নিয়মানুযায়ী যথা সময়ে যথাযথভাবে হবে। এই নির্বাচন কোনো অবস্থাতেই ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অথবা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো হবে না, যে নির্বাচনে প্রধান রাজনৈতিক বিরোধীদল অংশগ্রহণ করেনি, এবার এরকমটি হবে না।

তিনি আরও বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অনেক আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন অনেকেই, এবার এ ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা একেবারে নেই। আমার ধারণা, এবার একটি আসনেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ নির্বাচিত হবেন না। সব জায়গায় প্রার্থী থাকবেন। বিএনপিসহ সব দলই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। নির্বাচন হবে না বলে যারা শঙ্কা প্রকাশ করছেন, আমার মনে হয় তাদের পর্যবেক্ষণ বা মূল্যায়ন সঠিক নয়।
 
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মীজানুর রহমান বলেন, সফল নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রে ভোটারের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। ৬০ শতাংশ বা এর আশেপাশে ভোটারও যদি ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত থাকেন সেটাকে আমি সফল নির্বাচন বলবো। ইউরোপ-আমেরিকায় ৩০-৩৫ শতাংশ ভোটার উপস্থিত হলেই সফল বলা হয় সেই নির্বাচনকে। সবগুলো রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হয়।

তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পূর্বশর্ত হচ্ছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো যদি তাদের পূর্ণ সক্ষমতা নিয়ে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত থাকে তাহলে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। কারণ ভোট শুরু হলে নির্বাচন কমিশনের কোনো কর্তৃত্ব থাকে না। তাদের কর্তৃত্ব মূলত নির্বাচন গ্রহণের আগ পর্যন্ত। নির্বাচনের সফলতা অনেকখানি নির্ভর করে যখন ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে যায় তখন ভোটারের উপস্থিতি ও প্রতিদ্বন্দ্বি দলগুলোর এজেন্ট, প্রার্থী, তাদের অবস্থান এবং সেখানে যে নিরাপত্তা বাহিনী কিংবা প্রশাসনের ভোট গ্রহণ কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা যারা থাকে তাদের ওপর।