• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপরে ব্রহ্মপুত্রের পানি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২০  

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রোববার (২৮ জুন) সকালে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমা অতিক্রমের ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় ভেঙে যাওয়া বাঁধগুলো দিয়ে পানি প্রবেশ করে ফুলছড়ি-গাইবান্ধা আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর এখন হাঁটু পানি। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু গ্রাম। ব্রহ্মপুত্র নদবেষ্টিত নিম্নাঞ্চল ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া, খাটিয়ামারী ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা ও বালাসী ঘাট এলাকার ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। যমুনা নদীবেষ্টিত সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, পালপাড়া, চিনিরপটল, চকপাড়া, পবনতাইড়, থৈকরপাড়া, বাশহাটা, মুন্সিরহাট, গোবিন্দি, নলছিয়াসহ বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এছাড়াও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুর, বেলকা, হরিপুর ও শ্রীপুর গ্রামে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। তিস্তা ও ঘাঘট নদীবেষ্টিত সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলার চার উপজেলার ৪০টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে ৷

বন্যা কবলিত আব্দুল মালেক নামে এক ব্যবস্যায়ী অভিযোগ করেন, ফুলছড়ি উপজেলার সৈয়দপুর ঘাট এলাকায় গত বছর পানির তোড়ে ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে পানি ঢুকে বালাসীঘাটের ওয়াপদা বাঁধের পূর্ব এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পাঁচ গ্রামের অন্তত দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বানের পানিতে গাইবান্ধা-বালাসী সড়কও তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় ঝুঁকির মুখে ওয়াপদা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। বাঁধের বিভিন্ন অংশে ইঁদুরের গর্তসহ দেখা দিয়েছে ফাঁটল। পানির স্রোতে বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তাই এলাকার লোকজনের মাঝে বন্যা ও নদী ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। বসতবাড়িতে বন্যার পানি ওঠায় গবাদিপশু নিয়ে অনেকে বিপাকে পড়েছেন। তবে পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা বা তথ্য এখনও জেলা বা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি ৷

ফুলছড়ির গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মন্ডল জানান, পানি বৃদ্ধির কারণে নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকার ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।

সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুল আজাদ শীতন জনান, বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকিতে পড়েছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, গাইবান্ধায় ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপর দিকে তিস্তা, ঘাঘট ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।