• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

বিশ্বজুড়ে ‘বয়কট মিয়ানমার ক্যাম্পেইন’ শুরু

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০১৯  

রেহিঙ্গা গণহত্যায় বিশ্বজুড়ে মিয়ানমার বয়কট-এর ডাক দিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি যখন নিজ দেশের সেনাবাহিনীর রেহিঙ্গা গণহত্যার পক্ষে সাফাই গাইতে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে গেছেন; ঠিক তখন ‘মিয়ানমার বয়কট’-এর ডাক দিয়েছে ১০টি দেশের ৩০টি সংগঠন।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সু চি যখন হেগ-এ অবস্থান করছেন, তখন জার্মানভিত্তিক ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনস নামের প্ল্যাটফর্ম থেকে ‘বয়কট মিয়ানমার ক্যাম্পেইন’ শুরু করা হয়েছে। সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গণহত্যা মামলার শুনানিকে সামনে রেখে ৩০টি মানবাধিকার, শিক্ষাবিদ এবং পেশাদারদের সংগঠন মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ফরসি ডট কো, রেস্টলেস বিংস, ডেস্টিনেশন জাস্টিস, রোহিঙ্গা হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক অব কানাডা, রোহিঙ্গা হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ অব ইন্ডিয়া ও এশিয়া সেন্টারের মতো সংগঠনগুলো।

কর্মসূচি নিয়ে বয়কট রোহিঙ্গা ডট অর্গ তাদের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ‘২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসে এসব সংগঠন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মিয়ানমারকে বর্জনের আহ্বান সম্বলিত প্রচারণা শুরু করেছে।’ বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো নৃশংসতা, গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। এর পক্ষে প্রত্যক্ষ ও নথিভুক্ত প্রমাণ রয়েছে। সারাবিশ্ব এর নিন্দা জানালেও হতাশার কথা, এ অভিযোগগুলো প্রত্যাখ্যান করছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি।

ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা নাই সান লুইন বয়কট কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলেন, ‘জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন স্পষ্ট করেছে যে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জাতিকে নির্মূল করে দেয়ার একটি নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী হিসেবে আমরা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অধীনে ১৫ বছর গৃহবন্দি থাকা অং সান সুচির মুক্তির আন্দোলন করে এসেছি। তবে তিনি সেই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর শুধু খুনি সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে চলছেন। তাই আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক ও আনুষ্ঠানিক সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে সবার প্রতি আহ্বান জানাই।

এছাড়া রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডে বেশ কয়েকটি বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হয়েছে। যেখানে রোহিঙ্গাদের কয়েকটি দলের পাশাপাশি সরকার সমর্থকরা বিক্ষোভ করবে।