• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ভরা বর্ষায় তারাগঞ্জে কাদাবন্দি হাজারো মানুষ

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০১৯  

রংপুর জেলায় তারাগঞ্জ উপজেলায় এই ভরা বর্ষায় বৃষ্টিপাতের পরে কাদাবন্দি হয়ে পড়েছে ২ ইউনিয়নের ২০ হাজার মানুষ। দীর্ঘদিন এলাকার বিভিন্ন কাচা ও আধা-পাকা সড়ক সংস্কার না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই দেখা দেয় কাদার প্রভাব। এতে করে স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালতগামী সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় বিভিন্ন বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালি ইউনিয়নের বরাতী ব্রিজ থেকে হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ী বাজার পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার দুরত্ব এ রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে প্রায় ১৫ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের উপজেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি।

কিন্তু দীর্ঘদিন রাস্তাটির সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটিতে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। ফলে সৃষ্টি হয় কাদার। রাস্তাটির মহাসড়ক থেকে বরাতী বাজার পর্যন্ত ১ কিলোমিটার পাকা হলেও বরাতী বাজার থেকে কাশিয়াবাড়ি বাজার পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার দুরত্ব এ রাস্তাটি কাচা থাকায় বর্ষা মৌসুমে এলাকাগুলোর লোকজন এ রকম কাদাবন্দী হয়ে পড়ে।
ফলে তাদের জরুরি কাজে উপজেলা সদরে যেতে হলে হাড়িয়ারকুঠি ডাঙ্গীরহাট হয়ে বামনদীঘী দিয়ে ঘুরে আসতে হয়। এতে করে তাদের প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা বেশি ঘুরতে হয়। ফলে দ্বিগুন খরচের পাশাপাশি তাদের সময়ও নষ্ট হয় অনেক বেশি।

ইকরচালি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য রবিউল ইসলাম রবি বলেন, আমার ওয়ার্ডের অধিকাংশ জনগণ এই রাস্তা দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদসহ উপজেলা সদরে যাতায়ত করে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মহাসড়ক থেকে বরাতী বাজার পর্যন্ত মাত্র ১ কিলোমিটার পাকা হলেও পুরো রাস্তাটিই কাঁচা পড়ে আছে। ফলে এলাকার জনগণ কাদাপানি পার হয়ে জরুরি কাজে বের হচ্ছে না। রাস্তাটি পাকা হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

বরাতী কামারপাড়া গ্রামের আকাশ রায়, নিতাই, বিমলসহ বেশ কয়েকজন জানান, এই রাস্তা দিয়ে প্রত্যেকদিন সকাল থেকে মধ্যে রাত পর্যন্ত অত্যন্ত ৬ থেকে ৭ হাজার মানুষ যাতায়ত করেন। বরাতী কামারপাড়া, পালপাড়া, নারায়নজন, মুকুলেরবাজার, জেলেপাড়া, ইকরচালিপাড়াসহ এইদিকের লোকজনের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি এটি। বিকল্প দুটি রাস্তা থাকলেও একটি দিয়ে নদী পার হতে হয়। কিন্তু সেখানে কোনো ব্রিজ নাই। আর অপর রাস্তাটি দিয়ে নদী না থাকলেও অন্তত ১৪ থেকে ১৫ কিমি. বেশি ঘুরে যেতে হয়। তাই আমরা এই দিকে লোকজন খুব কষ্টে আছি।

বরাতী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী আশা মনি বলে, রাস্তার কাদার জন্য স্যান্ডেল হাতে নিয়ে স্কুলে আসতে হয়।

বরাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান বলে, ‘কাদোর রাস্তাত পাও পিছলে পড়লে বই খাতা সব নষ্ট হয়ে যায়।’

হাড়িয়াকুঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ বাবুল বলেন, তারাগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে আমার ইউনিয়টির আয়তন ও জনসংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমার ৩ থেকে ৪টি ওয়ার্ডের প্রায় ১০ হাজার মানুষ তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে তারাগঞ্জ উপজেলাসহ তারাগঞ্জ হাট-বাজারে ওই রাস্তাটি দিয়ে যায়।

উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা আহমেদ হায়দার জামান জানান, রাস্তাটির ১ কিলোমিটার পাকা হয়েছে। বাকি রাস্তাটিও পাকাকরণের তালিকায় আছে।