• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

ভারতে বির্তকিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলে শুনানি চলছে

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২০  

ভারতে বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বাতিল করার জন্য করা ১৪৪টি মামলার শুনানি চলছে দেশটির সুপ্রিমকোর্টে। বুধবার প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। দেশটির শীর্ষ আদালতের এ শুনানি কোন দিকে যেতে পারে সেটির ওপর নজর রয়েছে পুরো দেশের। 

এর আগে দেশটির বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করে। তাদের মধ্যে কংগ্রেস, সিপিআই, সিপিএম, ডিএমকে, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ ও এআইএমআইএম দলগুলো রয়েছে। যারা বিচারের দাবি জানিয়েছেন তাদের সবাই বলছে ওই আইন সংবিধান বিরোধী।

সিএএ-এর বিরুদ্ধে যেমন শীর্ষ আদালতে আবেদন করা হয়েছে, তেমনই ওই আইনকে ‘সাংবিধানিক’ ঘোষণার দাবিতেও পাল্টা আবেদন করা হয়েছে। এমনই একটি মামলায়, গত ৯ জানুয়ারি সুপ্রিমকোর্ট জানায়, এখনই ওই মামলার শুনানি সম্ভব নয়। বিচারপতিরা যুক্তি দিয়ে বলেন, দেশ এখন কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া আদালতের কাজ আইনের বৈধতা খতিয়ে দেখা, আইন সাংবিধানিক কিনা সেটি দেখা নয়।

সুপ্রিমকোর্ট ছাড়াও দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টেও সিএএ নিয়ে মামলা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। একসঙ্গে শুনানির জন্য সব মামলা হাইকোর্ট থেকে শীর্ষ আদালতে নিয়ে আসার আবেদন করে কেন্দ্রীয় সরকার।

গত বছরের ১১ ডিসেম্বর লোকসভায় সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল (সিএবি) পাশ হয়। এরপর ১২ ডিসেম্বর রাজ্যসভায়ও পাশ হয় সিএবি। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ওই বিলে সই করার পরেই সেটি আইনে পরিণত হয়। ওই আইনে বলা হয়েছে, ভারতের প্রতিবেশী পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পার্সি ও খ্রিস্টানদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
 
লোকসভায় বিল পেশের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেন, বিলটি কোনো ভাবেই মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরোধী নয়। ভারতীয় মুসলিমদের ওপর বিলের কোনো প্রভাব পড়বে না বলেও জানান তিনি। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই দাবি মানতে নারাজ বিরোধীরা। মঙ্গলবার অমিত শাহ ই ফের বলেন, যার যত বিরোধিতা করার করুন, সিএএ প্রত্যাহার হবে না।