• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

মজাদার ফল ড্রাগন এর চাষ দিনাজপুরে

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

বাংলাদেশ চিনি শিল্পের চেয়ারম্যান একেএম দেলোয়ার হোসেন এফসিএমএ এর উজ্জল সম্ভাবনার চিন্তা থেকেই দিনাজপুর সেতাবগঞ্জ সুগার মিলের কান্তা ফার্মে ১৫ একর ২৫ শতক জমিতে এবারই প্রথম ৪০ হাজার ড্রাগন ফলের চারা রোপন করে সফলতার দিকে এগিয়েছেন।
দিনাজপুর সেতাবগঞ্জ সুগারমিল কাহারোল উপজেলার ৫নং সুন্দরপুর ইউনিয়নের অধীন কান্তা ফার্মের সহকারী ব্যবস্থাপক মোঃ খালেক মিয়া জানান, বাংলাদেশ চিনি শিল্পের চেয়ারম্যান একেএম দেলোয়ার হোসেন এফসিএমএ নির্দেশনা ও সম্ভাবনার পথ ধরেই সেতাবগঞ্জ সুগার মিলের মহাব্যবস্থাপক মোঃ শামসুজ্জামান এর তত্বাবধানে ১৫ একর ২৫ শতক জমিতে ৪০ হাজার ড্রাগন ফলের চারা রোপন করা হয়েছে।

ড্রাগন ফল খেতে সুস্বাধু এবং অন্যান্য ফলের থেকে দাম বেশি। প্রতি কেজি ড্রাগন ফল ৫ থেকে ৬শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিটি ফল ৩০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রামের বেশি ওজন হয়ে থাকে। একবছর পর থেকে গাছে ফল ধরা শুরু হয়। চারা উৎপাদনে প্রতিটি সিমেন্টের পিলারে ৪টি ড্রাগন ফলের চারা লাগাতে হয়। চারা রোপনের পূর্বে গোবর ও জৈব সার মাটিতে উর্বর করে নেওয়া হয়। ১০ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত প্রতিটি টপে ড্রাগন ফল উৎপাদন হয়ে থাকে। ড্রাগন ফলের চারা যত বেশি বয়স হবে ততই ফলের পরিমান বেশি হবে। ড্রাগন ফলের পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে দেশ ও বিদেশে রপ্তানী করে অর্থনৈতিক চাহিদা মিটানো সম্ভব। ড্রাগন ফলের চারা রোপনে উজ্জল লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত এবং পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে সাফল্য ও সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হতে পারে। 

তিনি আরো জানান, কান্তা ফার্মে জমির পরিমান ১৩২১ একর। প্রতি বছরের ন্যায় এ ফার্মে ৫৯১ একর জমিতে আখ চাষ করা হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে ৭৮০ মেঃ টন। ফার্মে আম, সেগুন, কাঠাল সহ বিভিন্ন প্রজাতির এক হাজার গাছ রয়েছে। জনবল কাঠামোর দিক দিয়ে স্থায়ী ভিত্তিতে এক কর্মকর্তা, ৩ সিডিএ, ১ জন কেরানী কর্মরত রয়েছে। অতিরিক্ত কাজের চাপ থাকলে অস্থায়ী ভিত্তিতে ৭০-৮০ জন শ্রমিক কাজ করে থাকে। এ ফার্মের আওতায় সাদিপুর ও শাহিনগর শাখা অফিস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বপরি সেতাবগঞ্জ সুগার মিলের কান্তা ফার্মের ড্রাগন ফলের চারা রোপনের দৃষ্টান্ত হতে পারে সম্ভাবনার মাইল ফলক। ড্রাগন ফলের উৎপাদনে পাল্টে যেতে পারে অর্থনৈতিক সফলতা। আর এ সফলতার দৃষ্টান্ত হতে পারে উৎপাদন বৃদ্ধির দিক নির্দেশনা।