• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

মধুর হোক মা ও সন্তানের সম্পর্ক

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৮  

মা ও সন্তানের সেতু বন্ধন সন্তানের যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অবশ্যই মা-সন্তানের মাঝে মধুর সম্পর্ক চাই।

বাবা-মার সঙ্গে একটি শিশুর নিবিড় সম্পর্ক থাকে। কারণ, তারা হলো সন্তানের নিকট নিরাপদ আশ্রয়, শক্তির উৎস এবং বিশুদ্ধতার প্রতীক। অতএব একটি শিশু কখনও কোনো বিপদের আশঙ্কা করলে তার মা-বাবার নিকট আশ্রয় নেয়। সে বিশ্বাস করে, যে কোনো কাজ সম্পাদন করার শক্তি ও সামর্থ তাদের রয়েছে।

 

1.শিশু সন্তানের যত্নে ইসলাম (পর্ব-২)

তাদের গৃহীত সিদ্ধান্ত, তাদের কথা ও কর্মসমূহ বিশুদ্ধতার মাপকাঠি। সুতরাং মা-বাবার, বিশেষ করে বাবার কখনই কঠিন মুহূর্তে কোনো ভয় কিংবা দুর্বলতা প্রকাশ করা উচিত নয়। যেমনিভাবে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণে তার বিস্ময় ও ইতস্ততা করা উচিত নয়। কারণ, এগুলো শিশুর ব্যক্তিত্বে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

শিশুর হৃদয়, আত্মা ও বুদ্ধিকে উপেক্ষা করে বাসস্থান, বস্ত্র ও পানাহারের প্রাচুর্য অথবা শুধু স্বাস্থ্য, শরীর ও পরিচ্ছন্নতার মধ্যে তাদের তৎপরতা সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। কারণ, পর্যাপ্ত পানীয় ও আহার্য জোগানের দায়িত্ব সংক্ষিপ্তভাবে সমস্ত সৃষ্টিই করে থাকে। সমগ্র সৃষ্টিকুলের ওপর মানবজাতির স্বাতন্ত্র্য ও অনন্য বৈশিষ্ট্য প্রতিষ্ঠিত।

জায়নামাজ পেতে রাখুন:

শিশু তার শৈশবে এসে মা-বাবার আনুগত্যের দিকে ঝুঁকে পড়ে সবচেয়ে বেশি। প্রকৃতপক্ষে এই বয়সে একটি শিশু-সন্তানের জন্যে তার মা-বাবার সঙ্গে গভীর সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এ বিষয়ে গভীর মনোযোগ প্রদান শিশুর প্রতিপালন ও তার নিরাপত্তা বিধানে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

ভালো কাজ যার পেছনে কোনো বিপদাশঙ্কা নেই তাতে আনুগত্য করায় শিশুর প্রতি কোনো নিষেধাজ্ঞাও নেই। এমন কি শিশু নিজে সেটাকে ভালো মনে না করলেও। একটি অবুঝ শিশু যখন তার মাকে ঘরের মধ্যে নামাজ পড়তে দেখে, তখন সে তার অনুকরণ করেতে চেষ্টা করে। এ ক্ষেত্রে তাকে বারণ করা অনুচিত, যদিও এতে তার নামাজের একাগ্রতা বিঘ্নিত হয়ে থাকে অথবা সে এমন কিছু করে ফেলে যা উচিত নয়। বস্তুতঃ এসব করতে দেয়াই তাকে নামাজে অভ্যস্ত করার অন্যতম উপায়। উপরন্তু সম্ভব হলে তার জন্য একটি ছোট্ট জায়নামাজের ব্যবস্থা করা উত্তম। যাতে নামাজের সময় হলে সে তার মায়ের সঙ্গে নামাজ পড়তে ও নামাজে তার অনুকরণ করতে প্রাণিত হয়।

মা-ই শিশুর প্রথম পাঠশালা:

মা-বাবা হচ্ছে সন্তানের প্রথম আদর্শ, প্রথম পাঠশালা। মা-বাবা থেকেই সন্তান শিখতে শুরু করে। বাবা-মা যেকোনো একজনের পক্ষ থেকেও মন্দ কাজ অথবা নিন্দিত আচরণ শিশুর সম্মুখে প্রকাশ পাওয়া উচিত নয়। মা-বাবা যেকোনো একজনের যদি এ জাতীয় কর্মের অভ্যাস থেকে থাকে। যেমন: ধূমপান করা, তাহলে তাৎক্ষণিক আল্লাহ তায়ালার নিকট তওবা করা এবং কোনো অবস্থাতেই যেন শিশুটি তার এ কাজ দেখতে না পায় সে ব্যবস্থা করা কর্তব্য।

যেমন: বিপদজনক কার্যসমূহ; যদিও তা কোনো ত্রুটিযুক্ত বা নিষিদ্ধ কাজ নয়, তদুপরি তা একটি শিশুর সম্মুখে করা অনুচিত। কারণ মা-বাবা ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর নির্জনে সে তাদের অনুসরণ করার চেষ্টা করে থাকে। অথচ সে তো এই মুহূর্তেই তার নিরাপদ ব্যবহার-বিধি উত্তমরূপে জেনে নিতে সক্ষম হয়নি। যথা- চুলা ধরানো।

পক্ষান্তরে নান্দনিক ও উত্তম আচরণসমূহ শিশুর সম্মুখে বেশি বেশি প্রকাশ করা দরকার। যেমন- মা-বাবাকে সম্মান করা, মানবিক প্রয়োজনে যে স্থানটা অপরিচ্ছন্ন হয়ে যায় তা পরিষ্কার করা, গৃহস্থালীর মালামাল পরিষ্কার করা অথবা তার নির্ধারিত স্থানে সেটা রেখে দেওয়া, খাবার গ্রহণের পূর্বে ময়লাযুক্ত হাত পরিষ্কার করা কিংবা খাবারের পূর্বে বিসমিল্লাহ এবং খাবারের শেষে আলহামদু লিল্লাহ পাঠ করা ইত্যাদি।

শিশুর এ বয়োঃস্তরে ভাষাগত দিক থেকে তার বিকাশ সাধনে অভিভাবকের যতœবান হওয়া উচিত। যা আকর্ষণীয় ঘটনাবলি ও উদ্দীপক গল্পসম্ভার হলেও হতে পারে। যেগুলো একটি শিশু পরম আগ্রহভরে চুপ করে শুনতে থাকে। অতঃপর আশা করা যেতে পারে ; অভিভাবক যে ভূমিকাটা পালন করলেন শিশু নিজেও সে দায়িত্বটা পালন করবে এবং তা মনোযোগ সহকারে শুনবে। এভাবে কথা বলার ধারাবাহিকতায় ক্রমান্বয়ে সে অগ্রসর হতে থাকবে।

এ সময় শিশুকে ‘করো’ এবং ‘করিও না’ কিংবা আদেশ-নিষেধের পদ্ধতির ওপর তৃপ্ত না থেকে বরং ‘নিজেই আদর্শ’ এই পদ্ধতিতে শিশু প্রতিপালন করা অধিকতর শ্রেয়। কারণ মডেল বা আদর্শ তার মননে দৃঢ়ভাবে বদ্ধমূল হয়ে থাকে। বাধ্য-বাধকতা ও বিধি-বিধান যা একটু কষ্টসাধ্য মনে করলে ছেড়ে দেবে- আরোপের চেয়ে অনুকরণের ক্ষেত্রে বেশি কার্যকর। আমরা অনেক সময় লক্ষ করি, কন্যাশিশু মাকে দেখে তার অনুকরণ করতে অভ্যস্ত। মা খাবারের পর রান্নাঘরে থালা-বাসন পরিষ্কার করতে ব্যস্ত; তখন দেখি শিশুটিও অনাহুতভাবেই রান্নাঘরে গিয়ে থালা-বাসন ধৌত করতে উদ্যত হয়।

উল্লেখ্য যে, শিশুর অনুসরণের একটি নেতিবাচক ও বিপদজনক দিকও আছে। বিশেষত টেলিভিশনের পর্দায় সে দেখে তাৎক্ষণিকভাবে তা অনুশীলনের দিকে সে ঝুঁকে পড়ে।

শিশুর প্রশ্নে রেগে না ওঠা:

শিশুদের কৌতূহল খুব বেশি। সে জানতে চায়। এ কারণে নানা বিষয়ে প্রশ্ন করে। কারণ পারিপার্শিক অনেক কিছুই তার অপরিচিত। তার এ কৌতূহল ও প্রশ্ন করার আগ্রহটা প্রকৃতপক্ষে তার প্রচ্ছন্ন বুদ্ধিমত্তা ও বেঁচে থাকার পরিচায়ক। এ ক্ষেত্রে একজন অভিভাবকের অবশ্য কর্তব্য হলো, এটাকে একটা সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে তাকে পর্যাপ্ত তথ্য সম্পর্কে জ্ঞাত করে তোলা। তবে প্রশ্নাধিক্যের কারণে তাকে মন্দ বলা বা কোনো প্রকার বিরক্তি প্রকাশ করা যাবে না। বরং প্রতিটি প্রশ্নের স্পষ্ট অথচ সংক্ষিপ্ত ও স্মৃতি সহজ উত্তর দানে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। শিশুর পরিবেশ থেকে তথ্যসমৃদ্ধ হওয়া, গবেষণা ও শব্দের সঙ্গে বাস্তব অভিজ্ঞতার সমন্বয় সাধনের এটা এক পরীক্ষিত উপায়। এতে একদিকে যেমন তার ভাষাগত দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে বিশুদ্ধ অর্থবোধক বাক্য গঠনেও সক্ষম হয়ে উঠবে। সেহেতু একজন অভিভাবকের যথাসাধ্য সঠিক উত্তরদানে সচেষ্ট হওয়া উচিত। শিশুর প্রশ্নের যেনতেন উত্তর দিয়ে দায়সারা কর্তব্য সম্পাদন ঠিক নয়।

শিশুর এ বয়ঃস্তরে একজন অভিভাবকের উচিত তাকে পৃথকী ও বিন্যস্তকরণ উপযোগী খেলারসামগ্রী কিনে দিতে হবে যাতে সে তা পৃথক করার পর পুনর্বিন্যাস করে তা পূর্বের স্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে। ফলে এতে সে মনের আনন্দ পাবে ও হাতের মাংস পেশীর অনুশীলন বা ব্যায়াম হবে। সঙ্গে সঙ্গে একটি খেলার সঙ্গে অভিজ্ঞতা ও পরিচিতি লাভ হবে।

কচি মনে শিক্ষার আলো:

শিশুকে শিক্ষার প্রতি উৎসাহ দিতে হয়। একটি শিশুকে তার এ বয়ঃস্তরে মৌলিক জ্ঞান শেখানো সহজ। কারণ তাকে যা শিক্ষা দেয়া হবে তা-ই সে স্মরণ রাখতে পারবে। আর যখন কোনো বিদ্যা উত্তমরূপে শেখানো হবে সেটা তার মনে দৃঢ়ভাবে অঙ্কিত হয়ে থাকবে। বহুকাল অতিক্রম হলেও তা আর সে ভুলবে না। বিশেষত সে বিষয়টি অন্যটার সঙ্গে পুনরাবৃত্তির সময়। অতএব এ সময় শিশুকে কোরআনুল কারীম পাঠদানের প্রতি বিশেষভাবে যত্নবান হওয়া উচিত। ছোট সূরাগুলো হেফ্জ করার মাধ্যমে সূচনা করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আধুনিক উপকরণের সাহায্য নেয়া যায়। যেমন: ক্যাসেট ও কম্পিউটার ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমে। এ সময় শিশুকে আকীদা-বিশ্বাস, দোয়া ও আদাববিষয়ক অনতিদীর্ঘ হাদিসগুলোও শিক্ষা দিতে হবে।

শিশুর মানসিক বিকাশ:

শিশুর একটি চঞ্চল মন রয়েছে। শিশু সারাটা সময়জুড়ে চঞ্চলমুখর থাকে। এটা তার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার আলামতো। একটি শিশুর এই চঞ্চলমুখর শক্তিকে অভিভাবক যদি যথার্থ মূল্যায়ন করতে না পারে তাহলে এটাই অভিভাবকের অবাধ্যতা ও বিরক্তির অন্যতম কারণ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু শিশুকে তা থেকে সম্পূর্ণররূপে নিষেধ করাও সমীচীন হবে না। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকের কর্তব্য শিশুটিকে এমন কিছুতে ব্যস্ত রাখা যা তার এ অপতৎপরতাকে নিঃশেষ করে দেবে। উদ্দীপনা ও চঞ্চলতার প্রকাশ শুধু একটা বিষয়ে সীমিতো না রেখে বিভিন্ন প্রকরণে হওয়া উচিত। যেমন: ফুটবল খেলা, বাইসাইকেল চালানো ইত্যাদি।

উল্লেখ থাকে যে, শিশুর বিকাশের এ স্তরে এসে তাকে কোনো কাজে ব্যস্ত না রেখে শুধু আদেশ-নিষেধের নিয়ন্ত্রণের ওপর নির্ভর করা অভিভাবকের কাম্য নয়। কখনও কখনও উক্ত অবস্থার পুনরাবৃত্তিও ঘটতে পারে যখন কোনো অভিভাবক শিশুকে শাস্তি প্রদান কিংবা ভীতি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে এমন কিছু বিষয়ের অবতারণা করে, যার কু-প্রভাব সুদূরপ্রসারী। যথা: ভূত-প্রেত বা জ্বীনের ভয় দেখানো। যা তার ব্যক্তিত্বকে বিশেষ করে অন্ধকার স্থানসমূহে কাপুরুষতা ও দুর্বলতায় কলুষিত করে দেয়।

শিশুর চঞ্চলতা, উচ্ছ্বাস যে তার বয়সের বৈশিষ্ট্য, একজন অভিভাবকের এটা বুঝতে হবে। তখন তার কর্তব্য হবে, এমন পদ্ধতিতে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা যা একটি শিশুর জীবনে উত্তরোত্তর কল্যাণ বয়ে আনবে। যেমন: শিশুকে এমন কাজে ব্যাপৃত রাখা যেখানে সে তার শক্তির চর্চা করতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে সে ওখান থেকে লাভবানও হবে। যথা: শারীরিক-মানসিক বিকাশে সহায়ক খেলাধুলা অথবা তার সাধ্য ও সামার্থ্য অনুযায়ী কোনো হালকা কাজের দায়িত্ব দেওয়া।

মিথ্যাবলা থেকে বারণ:

শিশু তার সাধ্যের বাইরে অনেক কাজ করতে চায়। এক্ষেত্রে তার জন্য সর্বাপেক্ষা সহায়ক ও সহজসাধ্য বিষয় হলো মিথ্যাবলা। অভিভাবকের এ ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকা উচিত যে, শিশুটি যেন মিথ্যা বলার প্রয়োজন অনুভব না করে। অবশ্য তার মিথ্যা বলাটা কখনও একজন বয়স্ক ব্যক্তির মিথ্যা বলার মতো নয়।

যেমন, কোনো শিশুসন্তান তার বাবার নিকট একটি বিষয়ের বিবরণ দিল। পরে দেখা গেল আরেকজন বয়স্ক ব্যক্তি তার উল্টো বিবরণ দিল। তখন শিশুটির বাবা মনে করে তার বাচ্চাটির কথাই সত্য হবে। কেননা, শিশুরা মিথ্যা বলে না ও মিথ্যা চেনে না। কিন্তু এটা ঠিক নয়। বরং মিথ্যা বলা শিশুর নিকট একটা সাধারণ ব্যাপার। কারণ এর ভয়াবহতা সম্পর্কে সে অজ্ঞ, সে আদিষ্ট (মুকাল্লফ) নয় যে, শরিয়তের নিষেধাজ্ঞা বাধ্যতামূলকভাবে তার থেকে ছাড়াতে হবে।

শিশু-সন্তানটি সত্য বলল, না মিথ্যা? প্রমাণ ও আলামতের সাহায্যে তা নিশ্চিত হওয়া অভিভাবকের কর্তব্য। যেহেতু সাধারত সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে শিশুর মিথ্যা বলার সামর্থ্যটা খুবই দুর্বল। সেহেতু তার মনগড়া মিথ্যা চি‎ন্হিত ও শনাক্ত করা খুব সহজ।

অভিভাবকের নিকট মিথ্যা প্রমাণিত হলে শিশুটিকে এর ভয়াবহতা ও পরিণতি সম্পর্কে পূর্ণ বিবরণ দেওয়া কর্তব্য। তাকে বলা যেতে পারে, মিথ্যা বলা কখনই কোনো ভদ্রশিশুর চরিত্র হতে পারে না, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা মিথ্যাবাদীকে ভালোবাসেন না। এমন কি খোদ আমাদের প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং মুরুব্বিগণও মিথ্যাবাদীকে ভালোবাসেন না।

মিথ্যার ক্ষতি ও অপকার সম্বলিত সংক্ষিপ্ত গল্প উল্লেখ করা যেতে পারে। কৃতকর্মের জন্য তাকে আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চাইতে উদাত্ত আহ্বান জানাবেন ও সতর্ক করে দিবেন পুনরায় যেন কখনও এরকম কাজ সে না করে।