• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

মাত্র ১২ বছরে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২১  

শনিবার আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ১২ বছর’ এক সংবাদ সংম্মেলনের আয়োজন করে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। এতে ১২ বছরে নানামুখী উদ্যোগ বাংলাদেশের ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে ওঠা , অর্জন ও ভবিষ্যত কর্ম-পরিকল্পনার বিশদ উপস্থাপনা নিয়ে হাজির হন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে এতে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হোসনে আরা বেগমসহ তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের পথিকৃৎ উল্লেখ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের ৫০ হাজারেরও কম কর্মসংস্থান এই ১২ বছরে ১৫ লাখের বেশিতে এসেছে, ২০০৮ সালে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিলো মাত্র ৫৬ লাখ আর তা এখন প্রায় ১২ কোটি, সরকারি ওয়েবসাইট ছিলো মাত্র ৫০টিরও কম আর ২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তথ্য বাতায়ন বাংলাদেশের যেখানে সরকারি ওয়েবসাইট ৫১ হাজারেও বেশি, ২০০৮ সালে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের বাজার ছিলো ২৬ মিলিয়ন আর ২০২১ সালে তা এখন ১ বিলিয়ন ডলার।

পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারটি মাইলস্টোন দিয়েছেন, প্রথম ২০২১ সালের রূপকল্প ডিজিটাল বাংলাদেশ, দ্বিতীয় ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা, তৃতীয় ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং চতুর্থ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ সালের জন্য। এই সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তরুণ বয়সে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয়।উপস্থাপনা শেষে তথ্যপ্রযুক্তি খাত সংশ্লিষ্টরা বিভাগের এই অর্জনকে প্রত্যাশা ছাড়ানো বলে বাহবা দেন।

এ সময় উপস্থিত বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)-সহ তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন খাতের সংগঠনের প্রতিনিধিরা, স্টার্টআপ উদ্যোক্তারা, টেক ও টেলিকমে বিনিয়োগকারীরা, ফ্রিল্যান্সারসহ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যবসায়ী ও সুবিধাভোগী উভয় অংশের প্রতিনিধিরা এই অর্জন আশা জাগানিয়া বলে প্রশংসা করেন।

উপস্থাপনায় পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে দেশের জনগণকে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা, দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য কানেকটিভিটি নিশ্চিত করা, সরকারের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিতকল্পে জনগণের দোরগোড়ায় নাগরিক সেবা পৌঁছানো, ডিজিটাল বাংলাদেশ’ লক্ষ্য অর্জনে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের সবাইকে প্রয়োজনীয় সুবিধা প্রদানে সমন্বিতভাবে কাজ করে ব্যাপক সফলতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ।

‘শুধু পরিসংখানের নিরিখেই নয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে দারিদ্র্য কমানো ও মানব উন্নয়নে বাংলাদেশের এই মডেল এখন বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত’ বলেন তিনি।