• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

মাত্র ২০ টাকায় চোখ অপারেশন!

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

যশোরের শার্শা উপজেলার পাকশিয়া গ্রামের আম্বিয়া বেগমের চোখের দৃষ্টি ফিকে হয়ে গেছিল। দিনের আলোয় পৃথিবীটা তার কাছে ছিল যেন একটা ঘোলা আয়না।

মনের কোণে কেবল ভাসছিল সব চেনা ছবি, পরিচিত মুখ। চোখে দেখার সুযোগ ছিল না। এ অবস্থায় প্রয়োজন ছিল একটি অপারেশনের। কিন্তু দারিদ্রতার কারণে তাও সম্ভব হচ্ছিল না। একইভাবে এলাকার নুর ইসলামের চোখে ছানি পড়ার কারণে দেখতে পাচ্ছিলেন না।

আদ-দ্বীন হাসপাতালে বিনামূল্যে সেবা পেয়ে ফিরে এসেছে তাদের সুদিন। এখন মোশারফ মণ্ডল, চামেলী সরকার, খিদির মোড়লসহ খুলনা ও ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন এলাকা ও গ্রামগঞ্জে বিশেষ ক্যাম্প বসিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় চিকিৎসার ফলে সবার চোখে আলো ফুটেছে।

আদ-দ্বীন কর্তৃপক্ষ সূত্র বলছে, ২০০৩-১৮ পর্যন্ত এই হাসপাতালে পাঁচ লাখ রোগী বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা করার সুযোগ পেয়েছেন। ৬৫ হাজার ছানি পড়া রোগীকে বিনামূল্যে অপারেশন করানো হয়েছে।

এরমধ্যে যশোরের চাঁচড়া ডালমিল এলাকার আদ-দ্বীন সখিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০১৭ সালে দুই হাজার ৬৫৩ জন এবং ২০১৮ সালে তিন হাজার ৩৯২ জন ছানি পড়া রোগীকে বিনামূল্যে অপারেশনের মাধ্যমে তাদের চোখে আলো ফিরেছে। এছাড়া অপারেশন-সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ, ওষুধ দেয়া হয় বিনামূল্যে।

শার্শার পাকশিয়া গ্রামের ৮০ বছরের বৃদ্ধ আলী ইসলাম বলেন, আদ-দ্বীন কর্তৃপক্ষ বিনামূল্যে চোখের অপারেশন করে দিয়েছিল। এখন আগের মতো চলাচল করছি। বৃদ্ধ বয়সে এর চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে!

আদ-দ্বীন হাসপাতালের ম্যানেজার রবিউল হক জানান, গত এক যুগ ধরে আদ-দ্বীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিনামূল্যে প্রায় হাজারো নারী-পুরুষের দৃষ্টিশক্তি ফেরাতে সহায়তা করেছে। আগামীতে আরো রোগীদের সেবা দিতে তারা সবর্দা নিয়োজিত থাকবে।

আদ-দ্বীন মোবাইল আই প্রজেক্টের অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার রবিউল হক জানান, প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে প্রথমে চক্ষু ক্যাম্প করা হয়। সেখানে চোখের চিকিৎসার পাশাপাশি ছানি পড়া রোগীদের বাছাই করে অপারেশনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। পরে নিজস্ব গাড়িতে করে মাত্র ২০ টাকার রেজিস্ট্রেশন ফি নিয়ে অপারেশনের ব্যবস্থা করা হয়। এ কার্যক্রম আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।