• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

মাদকের গডফাদারদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে:বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০২০  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ২০১৮ সালে মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান শুরু হয়েছিল, তা বন্ধ হয়নি। মাদকের গডফাদারদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। গত দুই বছরে গডফাদারদের অনেককে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে।


রোববার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে ‘নারকোটিকস ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ (নিমস) এর টিভিসি উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, তালিকা অনুযায়ী এখনো মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। যেসব গডফাদার পালিয়ে রয়েছে বা গা ঢাকা দিয়েছে তাদের খোঁজা হচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, কোস্ট গার্ডসহ সব বাহিনী কাজ করছে। 

মাদক প্রতিরোধের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকের চাহিদা হ্রাসে ব্যাপকভাবে কাজ করা হচ্ছে। তবে সরবরাহ হ্রাসে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। এরপরেও সরবরাহ হ্রাসে অনেকটা সফলতা এসেছে। এজন্য বিজিবি ও কোস্ট গার্ড অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। আর র‌্যাব ও পুলিশ তো থেমে নেই। 

মিয়ানমার সীমান্তের বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, টেকনাফ সীমান্তে বর্ডার রোড করা হবে। শিগগির এর কাজ শুরু হবে। দুর্গম ও সীমান্ত এলাকায় কাজ করতে বিজিবিকে হেলিকপ্টার দেয়া হয়েছে।  

আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ছোট্ট একটি জায়গায় ১১ লাখের মতো রোহিঙ্গা বাস করছে। তাদের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়দের অনেক কষ্ট হচ্ছে। এরপরেও আমরা তাদের ওপর নজরদারি করছি। ইয়াবা তৈরির সঙ্গে রোহিঙ্গারা জড়িত না থাকলেও অনেকে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকতে পারে। এ ব্যাপারে সেখানে কাজ করা হচ্ছে।

নিমসের টিভিসি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা যেভাবে জঙ্গি-সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি, একইভাবে মাদকও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব। ২০৩০ সালের মধ্যে যাতে তরুণরা সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে পায় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। 

তিনি আরো বলেন, মাদক প্রতিরোধে আমরা- সরবরাহ হ্রাস, চাহিদা হ্রাস ও মাদকাসক্তদের চিকিৎসা দিয়ে পুনর্বাসন করার কাজ করেছি। চাহিদা হ্রাসের জন্য স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব প্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পেইন করা হচ্ছে। মাদকের কুফল সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল প্লাটফর্মে এসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এই টিভিসি মাদক নির্মূলে অনেকখানি সহায়তা করবে। মাদক শুধু তরুণদেরই ধ্বংস করে না একই সঙ্গে দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করে দেয়। 

অনুষ্ঠানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. জামাল উদ্দিন বলেন, নিমস চালুর ফলে মাদক সংক্রান্ত সবকিছু এখন থেকে ডিজিটালি পাওয়া যাবে। মামলা, মাদকের লাইসেন্স, মাদকের পরিসংখ্যান ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা নিমসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। সবকিছু একটি প্লাটফরম থেকে পাওয়া যাবে। 

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহীদুজ্জামান বলেন, যুব সমাজ মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে আগে বুঝতে পারে না। মাদকাসক্ত হওয়ার পর বুঝতে পারে। তাই যেকোনো উপায়ে হোক মাদকের হাত থেকে দেশের যুব সমাজকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য সামাজিকভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

টিভিসি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তাসহ অনেকে।