• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০২৪  

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএলের ১০০তম ম্যাচ সুখের হল না হার্দিক পান্ডিয়ার। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে তার দল হেরেছে ৮ উইকেটে। সবাইকে অবাক করে টস জিতে প্রথমে ব্যাট নিয়েছিলেন হার্দিক। মুম্বাই করে ৯ উইকেটে ১৭৯ রান। জবাবে রাজস্থান ১৮.৪ ওভারে ১ উইকেটে করে ১৮৩ রান। সঞ্জু স্যামসনের দলের জয়ের দুই নায়ক যশস্বী জয়সওয়াল এবং সন্দীপ শর্মা। ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে আইপিএলের প্লেঅফের দিকে আরো এক পা এগিয়ে গেল প্রতিযোগিতার প্রথম বারের চ্যাম্পিয়নেরা।

১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একটু ধীরে করেন যশস্বী জয়সওয়াল এবং জস বাটলার। তবে ইনিংস যত এগিয়েছে তত রান তোলার গতি বাড়িয়েছেন রাজস্থানের ব্যাটারেরা। সঞ্জুদের ইনিংসের ৬ ওভারের পর বৃষ্টি নামে। ৪০ মিনিট বন্ধ থাকে খেলা। তাতেও রাজস্থানের ইনিংসে বিঘ্ন ঘটেনি। বাটলার ২৫ বলে ৩৫ রান করে পীযূষ চাওলার বলে আউট হয়ে গেলেও অন্য প্রান্তে অবিচল ছিলেন যশস্বী। নিজের এবং দলের ইনিংসকে মসৃণ ভাবে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। যশপ্রীত বুমরাকেও পরোয়া করলেন না তরুণ ওপেনার। এ বারের আইপিএলে তেমন রান পাচ্ছিলেন না। প্রশ্ন উঠছিল তার ফর্ম নিয়ে। সোমবার সমালোচকদের জবাব দিলেন অনবদ্য শতরানের ইনিংস খেলে। ৫৯ বলে শতরান পূর্ণ করেন জয়সওয়াল। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকলেন ৬০ বলে ১০৪ রানে। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯টি চার এবং ৭টি ছক্কায়।

জয়সওয়ালকে যোগ্য সঙ্গ দেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জুও। তিনিও সাবলীলভাবে ব্যাট করেন। মুম্বাইয়ের বোলারেরা রাজস্থানের ব্যাটারদের তেমন কোনো সমস্যায় ফেলতেই পারেননি। সঞ্জুর ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৩৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ২টি করে চার এবং ছয়ে। মুম্বাইয়ের বোলারদের মধ্যে পীযূষ ৩৩ রানে ১ উইকেট নেন। জয়পুরের ২২ গজে সাধারণ দেখাল বুমরা, হার্দিকদের।

জয়পুরের ২২ গজে সুবিধা করতে পারেননি মুম্বাইয়ের উপরের দিকের ব্যাটারেরা। সন্দীপ এবং ট্রেন্ট বোল্টের দাপটের সামনে ২০ রানে ৩ উইকেট হারায় মুম্বাই। তার পরেও মুম্বাইকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেন দুই তরুণ তিলক বর্মা এবং নেহাল অধেরা। পর পর আউট হয়ে যান রোহিত শর্মা (৬), ঈশান কিশন (০) এবং সূর্যকুমার যাদব (১০)। বড় রান পেলেন না পাঁচ নম্বরে নামা মেহাম্মদ নবিও। আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার করেন ১৭ বলে ২৩ রান। ৫২ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মুম্বাইয়ের ইনিংসের হাল ধরেন তিলক এবং নেহাল। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা নেহালের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৪৯ রানের ইনিংস। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩টি চার এবং ৪টি ছয়। মাত্র ১ রানের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করলেও বোল্টের বলে আউট হওয়ার আগে তিলকের সঙ্গে ৯৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তিনি।

রাজস্থানের বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ের ইনিংসকে ভরসা দিলেন মূলত তিলক। চার নম্বরে নেমে ২২ গজের এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন শেষ পর্যন্ত। তিনি করেন ৪৫ বলে ৬৫ রান। তার ইনিংসে রয়েছে ৫টি চার এবং ৩টি ছক্কা। রান পেলেন না অধিনায়ক হার্দিকও (১০)। মুম্বাইয়ের শেষ দিকের ব্যাটারেরাও উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি।

এই ম্যাচে নবিকে আউট করে বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইপিএলে ২০০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ৪৮ রান খরচ করে একটিই উইকেট পেলেন লেগ স্পিনার। সফলতম সন্দীপ নেন ১৮ রানে ৫ উইকেট। রাজস্থানের অন্য বোলারদের মধ্যে বোল্ট ৩২ রানে ২ উইকেট, আবেশ খান ৪৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন। এ দিনও উইকেট পেলেন না রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বোল্ট এদিন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২৫০ উইকেট পূর্ণ করেন।