• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

মুজিবনগরকে দৃষ্টিনন্দন করতে ৫৪০ কোটি টাকার প্রকল্প

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২০  

ঐতিহাসিক মুজিবনগর মহান স্বাধীনতার অন্যতম তীর্থস্থান। ঐতিহাসিক মুজিবনগরে আন্তর্জাতিকমানের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে এবং দৃষ্টিনন্দন  করতে প্রায় ৫৪০ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি ।

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) মেহেরপুরে মুজিবনগর কমপ্লেক্সের পর্যটন মোটেলে ‘মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন (দ্বিতীয় পর্যায় )’ প্রকল্পের স্থাপত্য পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন। সভায় ভার্চুয়ালভাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ সরাস‌রি উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী মুজিবনগর কমপ্লেক্সের বিভিন্ন অবকাঠামো ঘুরে দেখেন এবং মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী বলেন, ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগরে এসে দেশী-বিদেশী পর্যটকগণ যাতে মুজিবনগরে আম্রকাননের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারেন সে লক্ষ্যে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথের ভাস্কর্য নির্মাণ , ডিওরোমা, প্যানোরামা, মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য বাগান ও ম্যুরাল স্থাপনসহ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং শিশুপার্ক স্থাপন করা হবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে মুজিবনগর স্মৃতিকেন্দ্র অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন হতে চলেছে। বিসিএস কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ এখানে আসবেন । নতুন প্রজন্ম মুজিবনগর এসে মুক্তিযুদ্ধকে উপল‌দ্ধি করবে। তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জেনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যাতে দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করে, সেজন্য মহান মুক্তিযুদ্ধ , স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলে ধরতে অনুরোধ করেন। তিনি প্রকল্পে প্রযুক্তির ব্যবহারের উপরও গুরুত্বারোপ করেন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এম পি এখানে লাইট এন্ড সাউন্ড শো এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরা এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের হলোগ্রাফিক উপস্থাপনের অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন। এছাড়া তিনি পরিবেশ সংরক্ষনের বিষয়টিও দেখার উপর গুরুত্বারোপ করেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী দুই প্রতিমন্ত্রীর পরামর্শ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা দেন।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মাদ মুনসুর আলম খান এর সভাপতিত্বে সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক স্থপতি আসিফুর রহমান ভুঁইয়া, মেহেরপুর পুলিশ সুপার এম মুরাদ আলীসহ সরকারের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, ভাস্কর, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।