• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

যেভাবে শূন্যে ‘ভাসতেন’ মাইকেল জ্যাকসন, রহস্য উন্মোচন

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

মার্কিন পপ তারকা মাইকেল জ্যাকসন। তার ভক্ত অনুরাগী সবাই এই তারকার শরীরী যাদুতে মুগ্ধ ছিলেন। কেননা কোন ধরনের তারের সাহায্য ছাড়াই লাইভ অনুষ্ঠানে ‘ভেঁসে’ থাকতে পারতেন। যাকে এক কথায় বলা যেতে পারে ‘অ্যান্টি গ্রাভিটি’ ড্যান্স।

মাইকেল জ্যাকসনের ড্যান্সে অনেক স্টেপই আমরা ছোটবেলায় কম-বেশি নকল করার চেষ্টা করেছি। যারা নাচে পারদর্শী তারা অনেকটাই বা পুরোটাই অনুকরণ করতে পেরেছেন। তবে এই পারদর্শী ড্যান্সারাও কিন্তু মাইকেল জ্যাকসনের মতো নিজের শরীরকে ৪৫ ডিগ্রি হেলিয়ে রাখতে পারবেন না।

শরীরকে ৪৫ ডিগ্রি কোণ করে হেলাতে গেলে আমাদের শরীরের ভরকেন্দ্রের অবস্থানের পরিবর্তন হয়। ভরকেন্দ্রের অবস্থানের বদল ঘটলে ভারসাম্য নষ্ট হবে। পড়ে যাবেন। ফলে মানুষের ক্ষেত্রে এটা করা অসম্ভব। তাহলে মাইকেল জ্যাকসন কীভাবে এমন করতেন?

এর পিছনে একটা বড় রহস্য রয়েছে। রহস্যটা লুকিয়ে রয়েছে মাইকেল জ্যাকসনের পোশাকের মধ্যেই। কৃতিত্ব তার পোশাক ডিজাইনার ডেনিস টমকিন্সের। মিউজিক অনুষ্ঠানে কী ধরনের পোশাক পরবেন মাইকেল জ্যাকসন, তা ঠিক করার দায়িত্ব ছিল তার। 

 

 

১৯৮৭ সালে তিনি একটি অনুষ্ঠানে প্রথম নাচের সময় সামনের দিকে ঝুঁকেছিলেন। সেটায় অবশ্য দড়ির সাহায্য নিয়েছিলেন। কিন্তু মাইকেলের ইচ্ছে হয়েছিল কোনোরকম দড়ির সাহায্য ছাড়াই তিনি নাচের মধ্যে সামনের দিকে অনেকটা ঝুঁকবেন। ইচ্ছের কথা পোশাক ডিজাইনারকে জানান মাইকেল। যেমন ইচ্ছা, তেমন কাজ।

১৯৯২ সালে একটা লাইভ মিউজিক কনসার্টে দড়ির সাহায্য ছাড়াই এমন স্টান্ট করে দেখান মাইকেল জ্যাকসন। বিস্ময় এবং চাঞ্চল্য একসঙ্গে দর্শকদেরই নাড়িয়ে দিয়েছিল ওই দিন। পরে তার এই কৃতিত্বের রহস্যের উন্মোচন ঘটে। ম্যাজিকটা আসলে লুকিয়ে ছিল তার জুতোতে। যা মাইকেল জ্যাকসনের ‘ম্যাজিক সু’ নামে পরিচিত সারা বিশ্বে। ম্যাজিকটা কী রকম?

ডিজাইনার ডেনিস বিশেষ প্রযুক্তির জুতো জোড়া বানিয়েছিলেন। ফ্লোরে ড্যান্স করার সময় আঁকড়ে ধরার একটি প্রযুক্তি এতে ছিল। এতটাই শক্তভাবে তা মেঝে আঁকড়ে ধরত যে মাইকেল খুব নিরাপদেই সামনের দিকে অনেকটা ঝুঁকতে পারতেন।

এই জুতোর হিলটাতেও ম্যাজিক ছিল। জুতো যখন মেঝে আঁকড়ে ধরত, হিল উপরের দিকে ঠেলে কিছুটা তুলে দিত মাইকেলকে। কোন সময়ে জুতোয় এই ম্যাজিক হবে তা স্থির করতে পারতেন মাইকেল। সঙ্গে অবশ্যই কাজে লাগাতে হত মাইকেলের পায়ের ক্ষমতা। তা নাহলে শরীরকে সোজা রাখাটা যাবে না।

১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দারুণ কাজ করেছে এই জুতো জোড়া। ১৯৯৬ সালে সেপ্টেম্বরে মস্কোর একটি অনুষ্ঠানে এই ‘অ্যান্টি গ্রাভিটি’ নাচ করতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান তিনি। যদিও খুব বেশি চোট পাননি। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকাতে তার মেরামতি করেন ডেনিস। বাকি জীবনটা নিশ্চিন্তে ‘অ্যান্টি গ্রাভিটি’ নাচ দেখিয়েছিলেন দর্শকদের।

জুতো জোড়া বর্তমানে মস্কোর হার্ড রক ক্যাফেতে রয়েছে। মাইকেলের মৃত্যুর পর ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৯০০ টাকায় নিলাম হয়েছিল সেটি।