• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

যোগাযোগ ভোগান্তিঃ কুড়িগ্রামে ত্রাণের ব্রীজের বেহাল দশা

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০১৯  

কুড়িগ্রামে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ কর্তৃক গ্রামিণ অবকাঠামো উন্নয়নের আওতায় নির্মিত ব্রীজগুলো এখন এলাকাবাসীর জন্য গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্রীজ নির্মাণ করা হলেও এর দু’পাশে মাটি ভরাট না করায় বছরের পর বছর ঝুলে থাকে সে ব্রীজ। কাগজে কলমে উন্নয়ন ঘটলেও এর সুফল পায় না স্থানীয়রা। ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকার অপচয় হচ্ছে সঠিক পরিকল্পনা ও কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতার কারণে। অনিয়মের বিষয়ে দরখাস্ত-দেনদরবার করেও মেলে না সমাধান। ফলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের।

জানা যায়,কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতাধীন হলোখানা ইউনিয়নের হেমেরকুটি গ্রামে ২০১৭ সালে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্তের ব্রীজটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হলেও ব্রীজের দু’দিকে মাটি ভরাট না করায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পরে সেটি। দু’বছর কেটে গেলেও এই ব্রীজ এলাকাবাসীর কোন কাজে লাগেনি। এমনকি তারা বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমেও এটি যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করতে পারছে না। বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে ধর্না দিয়েও মেলেনি সুফল। ব্রীজের দু’দিকে মাটি ভরাট না করায় সেটি অকেজো হয়ে পরে আছে।

হেমেরকুটি গ্রামের ফজল আলী, রহমত মিয়া, কাদের, হাজেরা বেগমসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন, সরকার ব্রীজ বানায় জনগণের উপকারের জন্য। অথচ এই ব্রীজ বানানোর পর থেকে আমরা একদিনও হাঁটতে পারি নাই। আজ এই ব্রীজ এখন আমাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

এছাড়াও আবু বক্কর,  মজিবর ও মীম জানান,  ব্রীজের পাশে ভাঙছে। আবাদি জমিতে বালু পড়ছে। এমন হাজারো সমস্যা নিয়ে চলাচল করতে হয় আমাদেরকে। বর্ষায় ছেলেমেয়েরা ঠিকমতো স্কুল যেতে পরে না। তখন খুব সমস্যা হয়। কিন্তু দেখার কেউ নেই।  

গ্রামিণ অবকাঠামো উন্নয়নের আওতায় নির্মিত এমন অনেক ব্রীজ রয়েছে যা স্থানীয়দের কোন কাজে আসছে না। এসব ব্যাপারে কর্মকর্তারা নির্বিকার। নেই কোন মনিটরিং, ফলোআপ বা জবাবদিহিতার ব্যবস্থা। ফলে এলকাবাসীর দুর্ভোগ তাদের কুম্ভকর্ণে প্রবেশ করে না। জনপ্রতিনিধিরাও অভিযোগ করতে করতে আশা ছেড়ে দিয়েছেন। 

এ ব্যাপারে জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা খায়রুল আনাম জামান, ত্রাণ শাখার যেসব ব্রীজ/কালভার্ট নির্মাণ করা হয়; তা স্ব-স্ব উপজেলা থেকে বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। তবে এই ধরণের কোন অভিযোগ আসেনি। আসলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।