• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

রংপুর অঞ্চলে বিদ্যুৎ সেবায় এসেছে আমুল পরিবর্তন

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০১৯  

১০ বছরে ডাবল চাহিদা পুরণ করে রংপুরবাসীকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী (নেসকো)। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার দিয়েই চলছে বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ। আরও একটি বিদ্যুৎ ট্রান্সফরমার লাগানোর অপেক্ষায় রয়েছে। এটি নেসকো রংপুর অফিসে আছে। তবে একটু শীত পড়লে এটি বিদ্যুতের আওতায় আনা হবে। শীতে যেহেতু বিদ্যুতের চাহিদা মানুষের কম থাকে সেকারণে এই সময়ে বিদ্যুতের আরও সুবিধা বাড়াতে অত্যাধুনিক ট্রান্সফরমারটি সংযোজন করা হবে। ফলে বিদ্যুৎ নিয়ে কোন সমস্যাই পোহাবেন না বিদ্যুতের গ্রাহকরা। রংপুরবাসীকে বিদ্যুৎ সরবরাহে আমুল পরিবর্তন আনতে ২টি প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করছে নেসকো। প্রজেক্ট ২টি প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। আগামী বছরে প্রজেক্ট ২টির একটিরও কাজ শুরু করতে পারলে অনেকটা সুফল পাবে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। বিদ্যুতের অবকাঠামো সংস্কার ও বিদ্যুৎ সংযোগে সকল ট্রান্সফরমারের ফিউজগুলো সহ বৈদ্যুতিক কেবল পরিবর্তন করা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেসকো রংপুরের প্রধান প্রকৌশলী মো: শাহাদত হোসেন।

নেসকো রংপুর অফিস সুত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে রংপুরে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৪৯ মেগাওয়াট। সেখানে ২০১৯ সালে রংপুরে চাহিদা বেড়েছে ১৫৮ মেগাওয়াট। আগে ট্রান্সফরমারগুলো বিদ্যুৎ ধারণ করতো ৫০/৭৫ মেগাওয়াট। সেখানে এখনকার ট্রান্সফরমারগুলো বিদ্যুৎ ধারণ করছে ৮০/১২০ মেগাওয়াট। যেখানে একটি ট্রান্সফরমার দিয়ে আগে রংপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছিল সেখানে এখন অত্যাধুনিক ২টি ট্রান্সফরমার দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। যার একটি ট্রান্সফরমারই বিদ্যুৎ ধারণ করতে পারে ১৯০ মেগাওয়াট। মানুষের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। ফলে গ্রাহকদের চাহিদা মাথায় নিয়ে নেসকো বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রমকে ঢেলে সাজিয়েছে। বিভিন্ন এলাকার ট্রান্সফরমার বদলি ও পুরাতনগুলি সংস্কার কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে। নগরীর বিভিন্ন সড়কে বিদ্যুতের পোল সড়ানোসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপুর্ণ বিদ্যুতের পোলের তার অপসারণে বিভিন্ন সময় বিদ্যুতের সমস্যা লেগেই রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিদ্যুতের তারে ফল্ট থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা পোহাতে হয় বিদ্যুৎ বিভাগকে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই বিদ্যুৎ বিভাগ সংস্কারসহ বিভিন্ন অভিযান অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে ১৩শ কোটি টাকা ও ১২শ কোটি টাকার ২টি প্রজেক্ট জমা দেয়া হয়েছে। প্রজেক্ট ২টিতে রংপুর অঞ্চলের বিদ্যুৎ বিতরণে আমুল পরিবর্তন আনতে অনেক কিছুই সংযোজন করা হয়েছে। সুবিন্যস্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু এবং সেরকমই সেবা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে প্রজেক্টে।

নেসকো রংপুরের প্রধান প্রকৌশলী মো: শাহাদত হোসেন বলেন, বিদ্যুতের ব্যবহারে আমরা কেউই সচেতন নই। সাধারণ ভাবেই মানুষ বিদ্যুতের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। আমরা ১০ বছরে মানুষের যে চাহিদা সেটি পুরণ করেও বেশী পরিমাণে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছি। ফলে অনেকেই বিদ্যুতের সমস্যায় ভোগেন না। আগামীতে আরও একটি ট্রান্সফরমার সংযোজিত হলে বিদ্যুতের সরবরাহে ক্রটি অনেকাংশেই কমে যাবে। বিদ্যুতের সফলতা ধরে রাখতে হবে। আগে একটি বাল্ব ও ফ্যান এর মধ্যেই মানুষের চাহিদা ছিল। এখন সেখানে রাইচ কুকার, এসি, ওয়াসিং ম্যাসিংসহ আরও চাহিদা বেড়েছে। ফলে সামনের দিনে মানুষের চাহিদা বাড়বে বরং কমবে না। সেজন্য বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার, ফেজ, ফিউজ ও সংযোগ পরিবর্তনসহ সংস্কার করা জরুরী। আমরা বিদ্যুতের রিডিং যেহেতু একটি নিয়মে নিয়ে এসেছি সেরকম ধীরে ধীরে বিদ্যুতের সমস্যাগুলোও সমাধান করছি। দ্রুত বা তাড়াহুড়ো করে এসব কাজ করা সম্ভব নয়। অফ পিক আওয়ারে বিদ্যুতের সংযোগগুলো যাচাই বাছাই করে সংস্কার করা হচ্ছে। লাইনে একাধিক ফেজ থাকায় বিভিন্ন সময় লাইনে ফল্ট ধরা পড়ে।