• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

রংপুর বিভাগে জনবল সংকটে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৯  

রংপুর বিভাগের আট জেলায় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আদায় হয়েছে ২৩০ কোটি ৩ লাখ টাকা। অর্জিত রাজস্ব গত অর্থবছরের একই সময় পর্যন্ত প্রাপ্ত রাজস্বের চেয়ে ২১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বেশি।

তবে এই বিভাগে ২০১৯-২০  অর্থ বছরে স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। ৫৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় কম হয়েছে।

রংপুর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, জনবল সংকট এবং প্রায় এক বছর ধরে রংপুর অঞ্চলের সিগারেটের ফ্যাক্টরিগুলো উৎপাদন বন্ধ থাকায় আদায় কম হয়েছে।

রংপুর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে ২৮৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আদায় হয়েছে ২৩০ কোটি ৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে জুলাই মাসে ১১২ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৭৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। আগস্ট মাসে ৮১ কোটি ২৮ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে ৯২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৮৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। গত অর্থবছরে একই সময় তিন মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২০৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। 

এরমধ্যে জুলাই মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৮১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আগস্ট মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৫৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৬৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা। রংপুর বিভাগে স্থানীয় পর্যায়ে চলতি অর্থবছরের মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১ হাজার ৫৪৮কোটি ৮৮ লাখ টাকা। গত অর্থবছরে ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১ হাজার ১৪১ কোটি টাকা।

রাজস্ব কর্মকর্তারা জানান, অনিয়মের অভিযোগে রংপুরের পাঁচটি সিগারেট কোম্পানি গত বছরের অক্টোবর থেকে বন্ধ রয়েছে। সেখান থেকে প্রতি মাসে রাজস্ব আদায় হতো সাড়ে ৩-৪ কোটি টাকা। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে রাজস্ব আদায়ে।

রংপুর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট অফিসের কমিশনার ডা. শওকত আলী সাদী জানান, তার যোগদানের পর থেকে রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য বেশকিছু প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এরমধ্যে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে প্রতি মাসে বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনা আয়োজন করা হচ্ছে। এরমধ্যে আট জেলায় অবস্থিত ডিভিশন অফিসে দুটি করে এবং হেড কোয়ার্টারে দুটি সভা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, এই প্রথম প্রতিটি জেলায় তামাক শিল্পের ওপর নিবারক(প্রিভেন্টিভ) তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। শুধু তাই নয় প্রতি সপ্তাহে কাজের বাধ্যতামূলক রিপোর্ট নেয়া হচ্ছে। এতে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গত বছর অক্টোবর পর্যন্ত তামাক শিল্প থেকে রাজস্ব এসেছিল ৬৭ কোটি টাকা। কিন্তু চলতি বছরের ওই সময় পর্যন্ত তামাক শিল্প থেকে রাজস্ব এসেছে ৯১ কোটি টাকা। পাঁচটি সিগারেট কারখানা বন্ধ থাকায় একটা বড় অংকের রাজস্ব থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। তারপরও জনবল সংকটের কারণে রাজস্ব আদায় কাঙ্খিত পর্যায়ে রাখা কষ্টকর হচ্ছে। বর্তমানে চাহিদার প্রায় অর্ধেক ইন্সেপেক্টরকে দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।