• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

রংপুর মেডিকেলে পিপিই নিয়ে চলছে নৈরাজ্য

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২০  

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার নার্স কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ করা পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) নিয়ে চলছে চরম নৈরাজ্য।পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরেও না দেয়ায় পিপিই সরবরাহের দাবিতে হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা। পরে বাধ্য হয়ে ৩৩৮টি পিপিই সরবরাহ করে কর্তৃপক্ষ। তবে কর্মচারীরা বলছেন, তাদের ৬শ’র বেশি কর্মচারী রয়েছে যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সেবা দিয়ে আসছে। অথচ পিপিই ব্যবহার করছে হাসপাতালের কর্তাদের পরিবারের লোকজন ও বহিরাগতরা বড় বড় কর্মকর্তারা।

হাসপাতাল চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মশিউর রহমান অভিযোগ করেন, হাসপাতালের ডাক্তার নার্স আয়া ব্রাদার কর্মচারী ক্লিনার যারা রোগীদের জরুরি সেবাসহ সার্বক্ষণিক সেবা দেন তাদের পিপিই দেয়া হচ্ছে না।তিনি অভিযোগ করেন, হাসপাতালের স্টোরে এখনও অনেক পিপিই আছে কিন্তু কর্তৃপক্ষ কেন দিচ্ছেন না এর কোন কারণ তারা ভেবে পাচ্ছেন না। 

হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে পিপিই দেবার কথা বললে তিনি দেই দিচ্ছি বলে আমাদের ঘোরাচ্ছেন। বাধ্য হয়ে কর্মচারীরা পিপিই প্রদানের দাবিতে পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করলে আমাদের কর্মচারীদের জন্য ৩৩৮টি পিপিই দেয়া হয়। এখনও ৩শ’র উপরে কর্মচারী পিপিই পায়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে বেশ কয়েকজন নার্স অভিযোগ করেন, আমরা পিপিই চাইতে চাইতে হয়রান হয়ে গেছি, না পেয়ে পিপিই কিনেছি, কেউবা বানিয়ে নিয়েছে। তারা বলেন, জীবন বাঁচাতে হবে তো সে কারণে নিজেদের সুরক্ষা নিজেরাই করতে বাধ্য হচ্ছি। 

তারা জানান, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭৮৫ জন নার্স ব্রাদার আছেন অথচ আমাদের দেয়া হয়েছে মাত্র দেড়শ’টি পিপিই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক জানান, বেশিরভাগ ইনটার্ন চিকিৎসককে পিপিই দেয়া হয়নি অথচ বড় বড় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পুরো পরিবারের জন্য পিপিই নিয়ে গেছে। এটা নিয়ে যে নৈরাজ্য চলছে তা বলার মতো নয়। অথচ সরকার বরাদ্দ দিয়েছে যারা রোগীদের সেবা করবে তাদের দেয়ার জন্য এসব স্টোরে রেখে কী করছে পরিচালক?।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালের স্টোরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বিপুল পরিমান পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও কাজী ফার্মাসসহ বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠান কয়েকশ’ পিপিই দিয়েছে কর্তৃপক্ষকে। এই বিপুল পরিমাণ পিপিই কোথায় গেল? তার সঠিক তথ্য স্টোরের দায়িত্বে থাকা কেউ রাজি হননি।

সার্বিক বিষয়ে জানতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পিপিই সঠিক ব্যক্তিরা যাতে পায় সে জন্যই ধীরে ধীরে দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।