• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

রংপুরে গভীর রাতে জাপা’র কর্মী সমাবেশ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০১৯  

রংপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার শেষ মুহূর্তে নির্বাচনি এলাকার বাইরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে দলের প্রার্থী রাহগীর আল মাহী ওরফে সাদ এরশাদকে নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত কর্মী সমাবেশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাসহ দলের নেতারা। দলের মধ্যে যে কোনও বিভেদ নেই, সেটা বোঝানোর জন্যই এই সমাবেশ করা হয় বলে দাবি করেছেন জিএম কাদের। তিনি দাবি করেন, এর মাধ্যমে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি।

রংপুর-৩ আসনটি রংপুর সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৫টি ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে নগরীর যে স্থানটিতে কর্মী সমাবেশ করা হয়েছে, সেটি সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং এলাকাটি নগরীর রংপুর গঙ্গাচড়া সড়কে শিরিন কমিউনিটি সেন্টার। এটি সিটি করপোরেশনের মধ্যে পড়লেও এলাকাটি রংপুর-১ আসনের মধ্যে পড়েছে। আর রংপুর-১ আসনের এমপি হচ্ছেন জাপার মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা।

সমাবেশে জাপার বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাসহ জেলা ও মহানগর জাপার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। রাত পৌনে ৯টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের চলে যেতে বলেন জাপা নেতারা। পরে রাত প্রায় ১২টা পর্যন্ত নেতাকর্মীদের নিয়ে জিএম কাদের ও রাঙ্গা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও জাপা সূত্র জানায়, বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে জাপা চেয়ারম্যান দলের মহাসচিবকে সঙ্গে নিয়ে সভাস্থলে এলে দলের নেতাকর্মীরা তাদের সংবর্ধনা দেন। কর্মী সভা শুরুর আগে জাপার মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করি নাই। রংপুর সদর আসনের নির্বাচনি এলাকার বাইরে আমরা কর্মী সভা করছি।’

রাঙ্গা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে বলেন, ‘তাকে বহন করা গাড়িটিতে নাকি জাপার নেতাকর্মীরা ধাক্কা দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। অথচ তিনি কীভাবে আহত হয়েছেন তা দেশবাসী জানে। এরশাদ সাহেব ৯১ সালের পর দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে রংপুর-৩ আসনের এমপি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে নির্বাচন করে বিএনপি প্রার্থীরা বারবার জামানত হারিয়েছে। ফলে জাপার বিরুদ্ধে কথা বলে কোনও লাভ হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবে না।’জাপার চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ‘রংপুর জাপার দুর্গ, এটা প্রমাণ করার কোনও প্রয়োজন নেই। যেখানে পরপর দুইবার পাঁচটি আসনে জয়ী হয়ে এরশাদ এমপি নির্বাচিত হয়েছেন, সেই সঙ্গে গত ৩০ বছরে দাপটের সঙ্গে জয়ী হয়ে একটানা এমপি হয়েছেন। এটা এখন সর্বজনস্বীকৃত, এরশাদ রংপুরসহ পুরো উত্তরাঞ্চলের একমাত্র জনপ্রিয় নেতা।’

জিএম কাদের বলেন, ‘আজ আমরা এসেছি এটা প্রমাণ করতে যে জাতীয় পার্টির মধ্যে কোনও বিভেদ বা সংকট নেই। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকবো। সেজন্যই আমি এবং মহাসচিবসহ দলের বেশ কিছু সিনিয়র নেতা ও নির্বাচিত এমপিরা এসেছি। রংপুর-৩ আসনে প্রয়াত চেয়ারম্যানের ছেলে সাদকে আমরা মনোনয়ন দিয়েছি। তাকে জয়ী করার জন্য সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। সেই সঙ্গে এরশাদের দুর্গকে আরও মজবুত করতে হবে।’

জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘দেশে যে রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা একমাত্র সমাধান করতে পারে জাতীয় পার্টি। কারণ আমাদের নেতা এরশাদ দেশে যে উন্নয়নের বীজ বপন করে গিয়েছেন তা সফল বাস্তবায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাছাড়া দেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে জাপার দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞা আছে। সেকারণে আমাদের প্রার্থীকে জয়ী করার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে জাতীয় পার্টি রংপুরসহ পুরো উত্তরাঞ্চলে অজেয়।’