• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৮.৬৫ শতাংশ

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০১৮  

চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রপ্তানি আয় হয়েছে। ছাড়া গত অর্থবছরের তুলনায়ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ২১২ কোটি লাখ ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে এক হাজার ৩৬৫ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১২ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি। ছাড়া গত বছরের একই সময় আয় হয়েছিল এক হাজার ১৫০ কোটি ৫৮ লাখ মার্কিন ডলার। সেই হিসেবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি আয় ১৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি হয়েছে।  অন্যদিকে অক্টোবর মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৭৯ কোটি ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৩৭১ কোটি ১৮ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩২ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি। গত বছর অক্টোবর মাসে আয়ের পরিমাণ ছিল ২৮৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। প্রধান রফতানি পণ্য পোশাক খাতের আয় ধারাবাহিকভাবে ভালো করেছে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য রপ্তানি আয় ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বাংলাদেশের রপ্তানি খাত মূলত পোশাক নির্ভর। রপ্তানিতে পোশাক খাতের অবদান দিন দিন বাড়ছে। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ক্রমান্বয়ে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।  রপ্তানি আয় আরও বাড়াতে প্রচলিত বাজার ছাড়াও নতুন নতুন বাজারের সম্ভাবনা কাজে লাগানো এবং পোশাকের পাশাপাশি পণ্য বহুমুখীকরণ বিশেষ করে বেশি মূল্য সংযোজন হয় এমন পণ্য রপ্তানির প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত। ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, পোশাক খাতের নিট পণ্য (সোয়েটার, টি-শার্ট জাতীয় পোশাক) রপ্তানি আয় প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় দুই- বেড়েছে। ৫০২ কোটি ১৮ লাখ ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৫৮৭ কোটি ৫২ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেশি রপ্তানি আয় হয়েছে। গতবছরের প্রথম ১১ মাসে নিট পণ্যের রপ্তানি আয় ছিল ৪৯৮ কোটি ৬২ লাখ ডলার। সে সময় ওভেন পণ্যেও (শার্ট, প্যান্ট জাতীয় পোশাক) রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২ দশমিক ৬১ শতাংশ। ৫১৪ কোটি ২৭ লাখ ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ওভেন পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৫৪৫ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের। গতবছরের একই সময় এর পরিমাণ ছিল ৪৪৫ কোটি ১৫ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় দশমিক ১৩ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে।

জুলাই-অক্টোবর সময় কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানি আয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এই খাতে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৬ কোটি ৬৫ লাখ ডলার, যার প্রবৃদ্ধি ৮০ দশমিক ৩৭ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এর আয় বেড়েছে ৬৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। উক্ত সময় রাসায়নিক পণ্যের রপ্তানি আয় ৪০ দশমিক ৪২ শতাংশ বেড়েছে। সময় এই খাতের রপ্তানি আয় ছিল ছয় কোটি ৩১ লাখ ডলার। পেট্রোলিয়াম বাই প্রোডাক্ট রপ্তানি হয়েছে ১৬ কোটি ৬২ লাখ, যার প্রবৃদ্ধি ৮৮৮ শতাংশ। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ৯৬ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি ৩১ দশমিক ১৪ শতাংশ। বেডশিট, কিচেন-টয়লেটসহ হোম টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৮২ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ছাড়া হিমায়িত মাছ, হ্যান্ডিক্রাফটস, সিমেন্ট, সল্ট, স্টোন, ইমারত তৈরির সরঞ্জাম সিরামিকের রপ্তানি আয় বেড়েছে। তবে চামড়া চামড়জাত পণ্য এবং পাট পাটজাত পণ্যসহ আরও কিছু পণ্যের রপ্তানি আয় আগের বছরের তুলনায় কমেছে।