রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়,মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক জাদুঘর
নীলফামারি বার্তা
প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৮
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব লীলাভূমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। শুধু সৌন্দর্যের দিক থেকেই নয়, দেশের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই জীবন উৎসর্গ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এসে শহীদদের স্মৃতি সংগ্রহ ও রক্ষার্থে ১৯৭৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা’।
রাবি’র বুকে সগর্বে দাড়িয়ে থাকা এই সংগ্রহশালাটি দেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক জাদুঘর।
শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালাটি চমৎকার স্থাপত্য নৈপূণ্যে সমৃদ্ধ। এখানে মোট ছয় হাজার ছয়শ বর্গফুট আয়তনের তিনটি গ্যালারি রয়েছে। খুবই ক্ষুদ্র পরিসরে সংগ্রহশালাটি যাত্রা শুরু করলেও পর্যায়ক্রমে এটি সংগ্রহের দিক থেকে মুক্তিযুদ্ধের একটি পূর্ণাঙ্গ সংগ্রহশালায় পরিণত হয়েছে। এতে স্থান পেয়েছে ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত বিভিন্ন চিত্রকর্ম, দলিল-দস্তাবেজ, আলোকচিত্র, জামা, জুব্বা, কোট, ঘড়ি, পোশাক, টুপি, কলমসহ বিভিন্ন দুর্লভ সংগ্রহ।
সংগ্রহশালার প্রথম গ্যালারিতে আছে:
আলোকচিত্র ৫৯টি, প্রতিকৃতি ৬টি, কোলাজ ২টি, শিল্পকর্ম ৮টি, পোশাক ও অন্যান্য বস্তু ৭টি, ভাস্কর্য ১টি, ডায়েরি ও অন্যান্য পান্ডুুলিপি ৪টি এবং বাঁধাইকৃত আলোকচিত্র রয়েছে ২টি।
প্রথম গ্যালরিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শহীদ ড. মো. শামসুজ্জোহার বিভিন্ন ছবি, ব্যবহৃত জিনিসপত্র রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত বিভিন্ন পোশাক ছাড়াও রয়েছে ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের আলোকচিত্র, নিহত শহীদ আসাদের কিছু দুর্লভ ছবি, বিভিন্ন শিল্পীর আঁকা মুক্তিযুদ্ধের ছবি, ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্মিত রাজশাহীর প্রথম শহীদ মিনারের ছবি এবং রাজশাহীতে উত্তোলিত প্রথম জাতীয় পতাকাটি।
দ্বিতীয় গ্যালারিতে আছে:
আলোকচিত্র ১০৮টি, প্রতিকৃতি ৩৫টি, শিল্পকর্ম ৯টি, বাঁধাইকৃত আলোকচিত্র ১৯টি, ভাস্কর্য ৩টি, পোশাক ও অন্যান্য বস্তু ৯৯টি ও ডায়েরি ৫টি।
দ্বিতীয় গ্যালারীতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও পোশাক। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন প্রতীকী ভাস্কর্যও এই গ্যালারিতে স্থান পেয়েছে। রয়েছে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠর ছবি।
তৃতীয় গ্যালারিতে আছে:
আলোকচিত্র ১১২টি, প্রতিকৃতি ১টি, শিল্পীকর্ম ১১টি, বাঁধাইকৃত আলোকচিত্র ১টি, ভাস্কর্য-৬টি, ডায়েরি ও পান্ডুলিপি ৪০টি, পোশাক ও অন্যান্য বস্তু রয়েছে ৫৬টি।
তৃতীয় গ্যালারীতে রয়েছে একাত্তরের গণহত্যায় নিহত অসংখ্য শহীদের মাথার খুলি আর হাড়। অপরদিকে গ্যালারির একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন ঐতিহাসিক আলোকচিত্র।
সংগ্রহশালার ভেতরে একটি লাইব্রেরীও আছে। যারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণা করেন তাদের জন্য লাইব্রেরিটি ব্যবহার করা সুযোগ দেওয়া হয়। এছাড়াও সংগ্রহশালাটির ভেতরের বিভিন্ন দেয়ালে বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি রয়েছে।
সংগ্রহশালাটি শুক্র ও শনিবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। প্রতিদিন প্রায় শতাধিক দর্শনার্থী আসেন সংগ্রহশালাটি ঘুরে দেখতে। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় দিবসে দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়।
সংগ্রহশালায় ঘুরতে আসা গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফরিদ আহমেদ বলেন, ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল এবং এর পরবর্তী সময়ের বাংলাদেশের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে এই সংগ্রহশালায়। এই সংগ্রহশালা শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসকেই তুলে ধরে না বরং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতেও সাহায্য করে।
শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালার কিউরেটর মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর প্রথমে একটি লম্বা ঘরে শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণ করা হতো। পরবর্তীতে নতুন তিনটি গ্যালারির মাধ্যমে এর বিস্তার ঘটানো হয়। প্রথম দিকে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষত কর্মকর্তা কর্মচারীর স্মৃতি সংরক্ষণ করা হলেও পরবর্তীতে ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত শহীদদের নিদর্শনসমূহ সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। দেশের শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে, তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এবং ডকুমেন্ট সংরক্ষণের জন্য এই সংগ্রহশালা অনন্য ভূমিকা পালন করে চলেছে।
- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- নীলফামারীতে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনা
- চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- পুলিশের প্রতি ১১ নির্দেশনা
- প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ প্রার্থী
- চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫০ ভাগ
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- ডিমলায় জুয়া খেলার অপরাধে আটক-২
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক
- রাতেই যেসব অঞ্চলে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি
- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- ফারিণের ‘নিকষ’ অন্ধকার!
- অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি, ৫ যুগ্ম-সচিবের বদলি
- ‘সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে ভূমিসেবায় দুর্নীতি প্রতিরোধ করা হবে’
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- অবৈধ দখলে থাকা খাস জমি চিহ্নিত করতে বললেন ভূমিমন্ত্রী
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- চিকিৎসা ব্যবস্থা যেকোনো মূল্যে সহজলভ্য করবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- মানুষের জীবন সহনীয় করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
- জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে: শিল্প সচিব
- রোহিঙ্গা সমাধানে নিউজিল্যান্ডকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান
- তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে এরদোগান বিরোধীদের জয়
- ঈদে সৈয়দপুর-ঢাকা আকাশপথে বাড়তি ফ্লাইট
- রংপুরে সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যরিস্টার আনিকা তাসনিয়া
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- আইপিএলের মাঝপথে হঠাৎ দেশে ফিরলেন মুস্তাফিজ