• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের সঙ্গে একাত্মতা জার্মানির

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০২০  

রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারকেই সমাধান করতে হবে; বাংলাদেশের এ দাবির সঙ্গে জার্মানি একাত্মতা প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোলৎজ। সোমবার রাজধানীর শের-এ-বাংলা নগর এলাকার এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ-গার্মেন্টস কনসাল্টেশনস ২০২০-এর উদ্বোধনী অধিবেশনের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আলোচনা সভার উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন- জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিএমজেড)-এর দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান ড. উতে হিনবাখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান এবং ইআরডি’র ইউং চিফ (ইউরোপ) ড. গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহান্ত।

জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গারা যেন নিরাপদে, টেকসই পরিবেশে সম্মানের সঙ্গে ফিরে যেতে পারে মিয়ানমারকে সে অবস্থা তৈরি করতে হবে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসা জরুরি।

সম্প্রতি জার্মানির ইকোনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী ড. গার্ড মুলারের বাংলাদেশ সফরের কথা তুলে তিনি বলেন, মুলার বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে জার্মান বাংলাদেশ সরকার ও এর জনগণের পাশে দাঁড়াবে।

এ সময় রাষ্ট্রদূত তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যৎ অংশীদারিত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো গভীর করবে বলে জানান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বিষয়ে পিটার বলেন, আমরা সবাই এই উৎসবে আপনাদের অংশীদার হতে পেরে আনন্দিত। বাংলাদেশের উন্নয়ন উচ্চমাত্রায় পৌঁছানোর লক্ষে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।

বাংলাদেশ এখন ধীরে ধীরে এলডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণের দিকে অগ্রসর হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, এই লক্ষে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এ ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে।

আরএমজি খাতকে অর্থনীতির মেরুদণ্ড ও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি উল্লেখ করে জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে জিএসপি বাণিজ্য প্রশ্নে চলমান সংলাপে জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার ভাল সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির বৈচিত্র্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গত এক দশকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে পিটার বলেন, বাংলাদেশের দারিদ্রতার হার হ্রাস পেয়ে ২০ শতাংশ এবং অতিদারিদ্রতার হার এক ডিজিটে নেমে এসেছে। প্রায় সবার কাছে শিক্ষা, জ্বালানি ও স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে গেছে।

‘বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৮তম বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশে পরিণত হয়েছে। এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ এবং শিগগিরই দেশটি আরো এগিয়ে যাবে।’

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন, বিচার ও পার্লামেন্ট বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বেজা, বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, এলজিআরডি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা কমিশন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।