• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাবোই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০১৯  

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নিজেদের এবং এ অঞ্চলের শান্তি-শৃঙ্খলা স্বার্থে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে হবে। যে করেই হোক রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাবোই।

তিনি বলেন, মিয়ানমারকে তাদের লোকদের মধ্যে আস্থা আনাতে হবে। এই দায়িত্ব মিয়ানমারের, আমাদের না। আমরা অনেক করেছি।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে ‘১৫ আগস্ট ও বাংলাদেশের ওপর এর প্রভাব’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। 

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে শক্ত অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শক্ত অবস্থানের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের সেদেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রাজি করাতে বাংলাদেশ সরকার কাজ করবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সফল করার দায়িত্ব মিয়ানমার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের।

তিনি বলেন, আমরা এতদিন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কথা শুনেছি। মানবিক দিক থেকে আমাদের যা যা করার ছিল, সব করেছি। অনুকূল পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বুঝিয়ে দেশে ফেরত নেয়ার দায়িত্ব মিয়ানমারের, কারণ তারা তাদের নাগরিক।

রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে ভিয়েতনাম, চীন, রাশিয়া এমনকি ভারতও এখন বাংলাদেশকে একবাক্যে সমর্থন দিচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী। 

প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সফল করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোর দাবি জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলব তারা যেন মিয়ানমারে যায়। এজন্য একটি কমিশন করা যেতে পারে। কমিশন, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা এবং অন্যান্য সবার এখন কাজ হচ্ছে মিয়ানমার যাওয়া। সেখানে গিয়ে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করা।

পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে পাঠানোর কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও একজন রোহিঙ্গাও স্বদেশে ফিরতে রাজি হননি। রোহিঙ্গারা নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে রাখাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও নাগরিকত্বসহ ৪টি শর্ত দিয়েছেন। আর এই শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা একজনও মিয়ানমারে ফিরতে রাজি নন বলে জানিয়েছেন। এর আগে গেল বছরের ১৫ নভেম্বরও রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরার অনাগ্রহ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে ভেস্তে দিয়েছিল। 

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার সেনা কর্তৃক নিপীড়ন, জ্বালাও-পোড়াও, গণহত্যা ও গণধর্ষণের মুখে সাগর ও সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নতুন করে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। উখিয়া-টেকনাফের ৩২টি ক্যাম্পে বর্তমানে সব মিলিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে।