• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

লালমনিরহাটে আ`লীগের পাল্টা-পাল্টি কমিটি গঠনে সংঘর্ষের আশঙ্কা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০১৯  

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে পাল্টা-পাল্টি কমিটি গঠন করছেন দলীয় দুইটি গ্রুপ। ফলে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

দুই গ্রুপের একটিতে নেত্বেত্ব দিচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউজ্জামান ভেলু ও অপরটিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছেলে মাহমুদুল হাসান সোহাগ।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিংগিমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন করছেন সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীরা। অপরদিকে, শুক্রবার (২২ নভেম্বর) হাতীবান্ধা মহিলা কলেজ হলরুমে সিংগিমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘোষণা করেছেন সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ।

দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউজ্জামান ভেলুর নেতৃত্বে ইতোমধ্যে ওয়ার্ড কমিটি গঠন শেষে তিনটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। অপরদিকে, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সোহাগের নেতৃত্বে একই এলাকায় পৃথকভাবে ওয়ার্ড সম্মেলন শেষে ইউনিয়ন কমিটি গঠনের প্রস্তুতি চলছে। পাল্টা-পাল্টি কমিটি গঠন নিয়ে মাঠের নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান ভেলুর গ্রুপে রয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক সরওয়ার হায়াত খান ও টংভাঙ্গা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান আতি। অপরদিকে, সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সোহাগের সঙ্গে রয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু। 

হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউজ্জামান ভেলু বলেন, দলের গঠনতন্ত্র মেনে আমরা প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন করছি। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক আমাকে না জানিয়ে একই এলাকায় পাল্টা কমিটি গঠন করছেন। 

হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সোহাগ বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্বাছ উদ্দিনসহ নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ওয়ার্ড কমিটি গঠন শেষ হয়েছে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকে ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হবে। আর কেউ কমিটি করে থাকলে তা আওয়ামী লীগের নয়। যিনি করেছেন (বদিউজ্জামান ভেলু) তিনি দলের একজন সাধারণ সদস্য মাত্র। দলীয় প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় তিনি দলীয় সভাপতির পদ হারিয়েছেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে তাকে শুধুমাত্র উপজেলা কমিটির সাধারণ সদস্য রেখেছেন। সুতরাং তার এ কমিটি গঠনও দলীয় গঠনতন্ত্র বর্হিভূত কাজ।