• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

লালমনিরহাটে সেনাবাহিনীর ত্রাণ পেল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৫০ পরিবার

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০  

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি এলাকায় তিস্তা পাড়ের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৫০ পরিবারের মাঝে সেনাবাহিনীর ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও পানি বিশুদ্ধকরণ অস্থায়ী ‘ওয়াটার প্লান্ট’ স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন সেনাবাহিনীর রংপুর ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের ৭২ ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং চ ছা মং।

রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলার কালমাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং চ ছা মং -এ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। এরপর তিনি কালমাটি জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি, পাকারমাথা ও চওড়াটারী গ্রামের বন্যা কবলিত মানুষের বিশুদ্ধ পানির জন্য সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ওয়াটার প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এ সময় রংপুর ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের ৭২ ব্রিগেডের ৩৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেঃ কর্ণেল হাফিজুর রহমান, ক্যাপ্টেন আব্দুল মালেক ও কোম্পানী কমান্ডার সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ ওয়াজেদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ক্যাপ্টেন আব্দুল মালেক জানান, চাল, ডাল, তেল, আটা, লবণ, সুজি ও বিস্কুট সহ এই সাত প্রকার পণ্যের সাড়ে ১১ কেজি ওজনের একটি করে প্যাকেট প্রত্যেক বানভাসী মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। 

লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের তিস্তা নদী বিধৌত ১ ও ২নং ওয়ার্ডের বসবাসরত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৫০ পরিবারের মাঝে সেনাবাহিনীর এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটের কারণে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পানি বিশুদ্ধকরণ ‘ওয়াটার প্লান্ট’ স্থাপনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি উৎপাদন করে সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং চ ছা মং সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্থানীয় মানুষের প্রয়োজনে এবং সিভিল প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী যতদিন দরকার ততোদিন আমরা বিশুদ্ধ পানি ওয়াটার প্লান্টের মাধ্যমে সরবারহ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এ কার্যক্রম আমাদের একটি অস্থায়ী ক্যাম্পের মাধ্যমে পরিচালনা হচ্ছে।