• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

শতবর্ষপূর্তি উৎসব দ্রুত করার দাবিতে কারমাইকেল কলেজে মানববন্ধন

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০১৯  

উত্তরের অক্সফোর্ডখ্যাত কারমাইকেল কলেজের শত বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান না হওয়ায় ফুঁসে উঠেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অবিলম্বে শত বর্ষপূর্র্তি অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণাসহ বর্ষপূর্তির নামে বিগত সময়ের দুর্নীতি ও অনিয়মের সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাধারণ শিক্ষার্থী পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

কলেজের প্রজন্ম একাত্তর চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর কারমাইকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পূর্ণ হয়েছে। অথচ কলেজ প্রশাসন শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান আয়োজনের নামে ভর্তি, ফরম ফিলাপ, রেজিস্ট্রেশন, স্পন্সরসহ বিভিন্ন নামে-বেনামে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। হাজার হাজার শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছে। অথচ তিন বছরেও শতবর্ষের অনুষ্ঠান করেনি।

মানববন্ধনে দাঁড়ানো কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক পাভেল রহমান হিমেল বলেন, বারবার অধ্যক্ষ আসে চলে যাওয়া। কিন্তু শতবর্ষপূর্তির আর অনুষ্ঠান হয় না। বর্তমান অধ্যক্ষ অনুষ্ঠান আয়োজনের আশ্বাস দিলেও সাধারণ শিক্ষার্থীসহ কলেজের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে এ নিয়ে কোন আলোচনা করেনি। অথচ এই শতবর্ষ উৎসবের সাথে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আবেগ জড়িয়ে আছে।

কারমাইকেল কলেজ শিক্ষার্থী পরিষদের আহবায়ক রেজওয়ান আহম্মেদ সৌধ্যের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান ফাহিম, মিলন মিয়া, আরাবিয়া হৃদয়, তানিয়া আহমেদ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ওমর ফারুক, তাসনিম সিনথি, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মারুফ হোসাইন প্রমুখ।

এসময় শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে শতবর্ষপূর্তি উৎসবকে ঘিরে কলেজ প্রশাসনের কাছ থেকে তিন দিনের অনুষ্ঠান কর্মসূচির দাবি জানান। একই সাথে প্রতি বছর ১০ নভেম্বর কারমাইকেল কলেজ দিবস ঘোষণা ও প্রতিষ্ঠাতা লর্ড ব্যারণ স্মরণে অনুষ্ঠান আয়োজন করতে কলেজ প্রশাসনের কাছে দাবি তুলে ধরা হয়।

দীর্ঘ আড়াই ঘন্টার মানববন্ধন সমাবেশে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সমাবেশ শেষে অধ্যক্ষ বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।